মৌলভীবাজার: কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) তত্ত্বাবধানে কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় দিনভর চলেছিল জঙ্গি আস্তানার অনুসন্ধান। সেটি শেষে ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে ১৪ রাউন্ড গুলি ও সাড়ে পাঁচ কেজি বিস্ফোরক।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার)।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিটিটিসির অভিযান শেষে ঢাকা ফিরে গেছে। গতকাল সোমবার (১৪ আগস্ট) জনতার হাতে আটক হওয়া ১৭ জঙ্গি সদস্যের মাঝে তিনজনকে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় জঙ্গি আস্তানার খোঁজে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুসন্ধানে নামে সিটিটিসি।
এদিকে, গতকাল জনতার হাতে আটক ১৭ জনের পরিচিতি প্রকাশ করেছে সিটিটিসি। তারা হলেন- সিরাজগঞ্জের ডা. সোহেল তানজিম (৪৫), তিনি সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। নাটোরের বাগাতিপাড়ার জুয়েল মাহমুদ (২৮), পাবনার সাঁথিয়ার আবির হোসেন (২০), নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আরিফুল ইসলাম (৩৪), যশোর সদরের মোল্লাপাড়ার ফাহিম খান (১৭), জামালপুরের বকশীগঞ্জের সোলাইমান (১৯), পাবনার আতাইকুলার আল মামুন ইসলাম (২০), রফিকুল ইসলাম (৩৮), কক্সবাজারের রামুর সাদমান আরেফিন ওরফে ফাহিম (২১), ইরতেজা হাসনাত ওরফে লাবিব (১৯), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রাহাত মণ্ডল (২৪), মাদারীপুরের পূর্ব চিরাইপাড়ার মেহেদী হাসান (২৩), সাতক্ষীরার তালার জুয়েল শেখ (২৪), বগুড়ার সারিয়াকান্দির আশিদুল ইসলাম (২৯), পাবনার আতাইকুলার মামুন ইসলাম (১৯), ঝিনাইদহ সদরের ছয়াছিলের তানজিল রানা (২৪) ও টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর কোয়েল (২৪)।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে জনতার হাতে আটক হন কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় আত্মগোপনে থাকা ১৭ জঙ্গি। আছকরাবাদ খেলার মাঠ এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে ওই এলাকা ত্যাগের সময় জনতা আটক করে তাদের। পরে কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, আটককৃতরা নতুন জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার টিম।