ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবল থেকে আরও এক ফুটবল তারকা পাড়ি জমালেন সৌদি আরবে। এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট লিভারপুল ছেড়ে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-আহলিতে যোগ দিলেন রবার্তো ফিরমিনো।
২০১৫ সালে হফেনহেইম থেকে লিভারপুলে যোগ দেন ফিরমিনো। অলরেডদের জার্সিতে ৩৬২ ম্যাচ খেলে ১১১ গোল করেছেন তিনি। মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে এবং ফিরমিনোকে নিয়ে গঠিত এই ত্রয়ী ছিল আক্রমণের দিক থেকে ইউরোপের অন্যতম সেরা। তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে ২০১৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ, ২০২০ প্রিমিয়ার লিগ এবং ২০২২ সালে এফএ কাপ ও লিগ কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল লিভারপুল।
২০১৯ ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর বিপক্ষে লিভারপুলের জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছিলেন ফিরমিনো। কিন্তু অ্যানফিল্ডে ফিরমিনোর সুখ স্থায়ী হয়নি। গত মৌসুমে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন ফিরমিনো। প্রিমিয়ার লিগ এবং চ্যাম্পিয়ন লিগেও দলের ভরাডুবি হয়েছে। ফলে ফিরমিনোর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়। অবশেষে এই গ্রীষ্মে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে অ্যানফিল্ড ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন তিনি।
সৌদি আরবের প্রো লিগের লক্ষ্য হলো বিশ্বের সেরা পাঁচ লিগের তালিকায় জায়গা করে নেওয়া। এই লক্ষ্য পূরণ করতে গত জুনে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) দেশের চারটি শীর্ষ ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছে। পিআইএফ ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডেরও মালিক। এরপর একের পর ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ ফুটবল তারকারা পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদি আরবে।
গত বছর ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়ে সৌদি ক্লাব আল-নাসরে যোগ দেন পর্তুগিজ ফুটবল সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই পথ ধরে এবারের গ্রীষ্মে তার সাবেক রিয়াল সতীর্থ ও ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমাও এসেছেন সৌদি আরবে। এরপর সৌদির ক্লাবে খেলতে ইউরোপ ছেড়েছেন এনগোলো কঁতে এবং কালিদু কুলিবালি, রুবেন নেভাস ও মার্সেলো ব্রোজোভিচের মতো ফুটবলার তারকারা। বাদ যাচ্ছেন না কোচরাও। যেমন লিভারপুলের সাবেক মিডফিল্ডার স্টিভেন জেরার্ড কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন আল-ইত্তিফাকে।