সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু শেষ হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। ৪টার পর থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
দুই সিটিতেই এবার সব কটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হয়েছে।
এর আগে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি নির্বিঘ্নেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ ভোট গ্রহণের জন্য সিলেট ও রাজশাহী দুই নগরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির নির্বাচনের মধ্যে গাজীপুর, বরিশাল ও খুলনা—এ তিন সিটিতে ভোট হয়েছে। আজ সিলেট ও রাজশাহীতে ভোট হচ্ছে।
সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এখানে মেয়র পদে ৮ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। এর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিলেট সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২। এর মধ্যে নতুন ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ১৫৭। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। হিজড়া ভোটার ৬ জন।
এই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।