বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গভীরতর করতে দুই দেশই উদ্যোগ নিচ্ছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক, জলবায়ু ও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাজ্য আগ্রহী বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
সোমবার, ২০ জুন লন্ডনে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে গত ৬ মে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং রানি ক্যামিলার ঐতিহাসিক রাজকীয় অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারায় আনন্দ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজকীয় রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ব্রিটিশ সরকারের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক রাজকীয় অভিষেকের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে খুশি হয়েছেন বলে জানান তিনি। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরের সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে এভিয়েশন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপের যৌথ কমিউনিক স্বাক্ষরের বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন অ্যান-মেরি।
মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক সহায়তা এবং রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টির বাইরে না যায়। ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের উদারতার প্রশংসা করেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাহাজ রি-সাইকেল করার বিষয়ে হংকং কনভেনশনে যোগদানের সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সবুজ শিপিং এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। উভয় পক্ষই কমনওয়েলথ বিষয়ক বিশেষ করে আসন্ন কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত ভাগ করে নেন।
বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।