ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নিরাপদ আগামীর বাংলাদেশ: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না জুলুম-অন্যায়কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না নাগেশ্বরীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পছন্দের বিয়ের বিপক্ষে অধিকাংশ পাকিস্তানি সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাহজালাল বিমানবন্দরে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেফতার জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে ০৩(তিন) কেজি গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

পায়রায় আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে পারে ২৬ জুন

ডলার সংকট থাকার কারণে কয়লার দাম পরিশোধ করতে না পারায় সাময়িকভাবে পুরোপুরি বন্ধ হওয়া দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগামী ২৬ জুন ফের উৎপাদন শুরু হতে পারে। প্ল্যান্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা জানান, এর আগে আগামী ২৫ জুনের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে এ দফায় আমদানি করা কয়লার প্রথম জাহাজটি আসছে।

সোমবার (৫ জুন) পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এর প্রভাব পড়ছে। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখতে যাচ্ছে কয়লা সংকটে বন্ধ হওয়া এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। কয়লা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দেয়ার পরই এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়।

এ বিষয়ে কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম জাহাজটিতে কয়লা লোডিং করা হবে ১১ থেকে ১২ জুনের মধ্যে। ২৩ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে সেটি পায়রা বন্দরের জেটিতে চলে আসবে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৬ জুন বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা। তিনি বলেন, ‘সহসাই এলসি (ঋণপত্র) কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তাছাড়া কয়লা নিয়ে জাহাজ আসার আগেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রাখব। কাজেই আশা করছি, আগামী ২৬ জুন থেকেই শুরু করা যাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন।’

এদিকে, আশার আলো হচ্ছে, ২৫ জুনের পর কয়লা বোঝাই করে পরপর আরও ১০টি জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) দেশে আসবে। আর তা দিয়ে দেড় থেকে দুই মাস উৎপাদন সম্ভব হবে। সরকার যেভাবে ডলারের সংস্থান করে দিচ্ছে তাতে বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে। তাই দ্বিতীয় বার আর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা নেই।

প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা আরও বলেন, ”নিয়মিতভাবে যদি অর্থের সংস্থান হয়, তাহলে আশা করছি, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র আর বন্ধ হওয়ার সুযোগ নেই।”

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু

পায়রায় আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে পারে ২৬ জুন

আপডেট সময় ০৫:১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

ডলার সংকট থাকার কারণে কয়লার দাম পরিশোধ করতে না পারায় সাময়িকভাবে পুরোপুরি বন্ধ হওয়া দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগামী ২৬ জুন ফের উৎপাদন শুরু হতে পারে। প্ল্যান্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা জানান, এর আগে আগামী ২৫ জুনের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে এ দফায় আমদানি করা কয়লার প্রথম জাহাজটি আসছে।

সোমবার (৫ জুন) পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এর প্রভাব পড়ছে। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখতে যাচ্ছে কয়লা সংকটে বন্ধ হওয়া এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। কয়লা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দেয়ার পরই এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়।

এ বিষয়ে কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম জাহাজটিতে কয়লা লোডিং করা হবে ১১ থেকে ১২ জুনের মধ্যে। ২৩ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে সেটি পায়রা বন্দরের জেটিতে চলে আসবে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৬ জুন বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা। তিনি বলেন, ‘সহসাই এলসি (ঋণপত্র) কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তাছাড়া কয়লা নিয়ে জাহাজ আসার আগেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রাখব। কাজেই আশা করছি, আগামী ২৬ জুন থেকেই শুরু করা যাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন।’

এদিকে, আশার আলো হচ্ছে, ২৫ জুনের পর কয়লা বোঝাই করে পরপর আরও ১০টি জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) দেশে আসবে। আর তা দিয়ে দেড় থেকে দুই মাস উৎপাদন সম্ভব হবে। সরকার যেভাবে ডলারের সংস্থান করে দিচ্ছে তাতে বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে। তাই দ্বিতীয় বার আর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা নেই।

প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা আরও বলেন, ”নিয়মিতভাবে যদি অর্থের সংস্থান হয়, তাহলে আশা করছি, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র আর বন্ধ হওয়ার সুযোগ নেই।”