ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বাতাস ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংস্কার কমিশনগুলো যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নিরাপদ আগামীর বাংলাদেশ: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না জুলুম-অন্যায়কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না নাগেশ্বরীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পছন্দের বিয়ের বিপক্ষে অধিকাংশ পাকিস্তানি সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

চা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে সংশ্লিষ্টরা শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

রোববার, ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রত্যাশা করি, চা শিল্পের উন্নয়ন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে চা বাগান মালিক ও বিপণনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি আন্তরিকভাবে কাজ করে এ শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার প্রায় ১২ হাজার একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। প্রতি বছর এ অঞ্চলের চা উৎপাদনের অতীত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র দেশের উত্তরাঞ্চলে ২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ ১৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। তার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চা শ্রমিকদের শ্রমকল্যাণে বিনামূল্যে বাসস্থান, সুপেয় পানি, প্রাথমিক শিক্ষা এবং রেশন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে বাগান মালিকদের নির্দেশনা দেন। তিনি চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি ও ভোটাধিকার প্রদান করেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতীয় চা পুরস্কার নীতিমালা-২০২২’ এর আলোকে এ বছর প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়ার উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। এতে চা বাগান মালিক, চা শ্রমিক, চা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অণুপ্রেরণা যোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। সূত্র : বাসস

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বাতাস ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে

চা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ১১:৩১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে সংশ্লিষ্টরা শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

রোববার, ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রত্যাশা করি, চা শিল্পের উন্নয়ন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে চা বাগান মালিক ও বিপণনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি আন্তরিকভাবে কাজ করে এ শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার প্রায় ১২ হাজার একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। প্রতি বছর এ অঞ্চলের চা উৎপাদনের অতীত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র দেশের উত্তরাঞ্চলে ২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ ১৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। তার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চা শ্রমিকদের শ্রমকল্যাণে বিনামূল্যে বাসস্থান, সুপেয় পানি, প্রাথমিক শিক্ষা এবং রেশন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে বাগান মালিকদের নির্দেশনা দেন। তিনি চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি ও ভোটাধিকার প্রদান করেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতীয় চা পুরস্কার নীতিমালা-২০২২’ এর আলোকে এ বছর প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়ার উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। এতে চা বাগান মালিক, চা শ্রমিক, চা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অণুপ্রেরণা যোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। সূত্র : বাসস