কাতার বিশ্বকাপে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে অনেকেই বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন। সেখানে তার দলও বিদায় নিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। কঠিন সেই সময়ে তিনি অবসর নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। তবে সেখান থেকেই হয়তো নতুন করে খাতা খোলার মিশনে নেমেছেন এই পর্তুগিজ সুপারস্টার। ইউরো বাছাইপর্বে দলের দুই ম্যাচের জয়েই তিনি করেছেন জোড়া গোল। ফলে উড়তে থাকা পর্তুগালের কাছে লুক্সেমবার্গ ৬-০ ব্যবধানের গোলবন্যায় ভেসে গেছে।
রোববার (২৬ মার্চ) লুক্সেমবার্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই রোনালদোরা শুরু থেকেই ছিলেন খোশমেজাজে। প্রথম মিনিট থেকেই তারা আক্রমণ শাণান।
এতে ফল পেতে তেমন বেগ পোহাতে হয়নি পর্তুগিজদের। ৯ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের ভেতর নুনো মেন্দেজের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো। এটি ছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার ১২১তম গোল। এই গোলের পর দুটি ট্রেডমার্ক উদ্যাপনকে একইসঙ্গে মিলিয়ে তিনি দর্শকদের আনন্দে ভাসান।
এরপর পর্তুগাল হয়ে ওঠে আরও বিধ্বংসী। টানা ৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকা স্বাগতিক লুক্সেমবার্গকে তারা কোনো সুযোগই দিচ্ছিল না। মাত্র ১৫ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে পর্তুগাল। এবার বার্নার্ডো সিলভার দারুণ ক্রসে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন জোয়াও ফেলিক্স। এরপর স্কোরশিটে নাম তোলেন সিলভাও। উড়ে আসা বল হেড দিয়ে তিনি জালে জড়ান।
১৮ মিনিটেই ৩ গোল হজম করে তখন রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়ে লুক্সেমবার্গ। ফলে তারা প্রতিরোধ গড়ারও সুযোগ পাচ্ছিল না। এরপর ৩১ মিনিটে উল্টো আরও একটি গোল খায় তারা। ব্রুনো ফার্নান্দেজের বাড়ানো বলে এবার নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সিআরসেভেন। আগের ম্যাচেও লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। পর্তুগালের জার্সিতে এটি রোনালদোর ১২২তম এবং ইউরো বাছাইয়ে ৩৭তম গোল।
বিরতির পরও পর্তুগাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে। তবে তারা আগের মতো ঠিক আক্রমণে যাচ্ছিল না। ৬৫ মিনিটে রোনালদোকে উঠিয়ে নেন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। এছাড়া আরও কয়েকটি পরিবর্তনের পর গতি বাড়ে পর্তুগালের। গোল তৃষ্ণা নিয়ে ছুটে ৭৭ এবং ৮৮ মিনিটে আরও দুবার স্বাগতিকদের জালে তারা বল পাঠায়। তখন স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৬-০। পরের গোল দুটি করেন অক্তাবিও এবং রাফায়েল লেয়াও। ফলে টানা দুই ম্যাচে জয় নিয়ে রোনালদোরা মাঠ ছাড়েন।