কাতারের লুসাইলে সোনালী ট্রফি জয়ের বহু আরাধ্য স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয় আর্জেন্টিনা। এর মাধ্যমে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার জার্সিতে পূর্ণতা পান লিওনেল মেসি। যা তাকে মহাতারকায় পরিণত করেছে। বিশ্বজয়ের আনন্দ কাতার হয়ে বুয়েন্স আয়ার্স, এমনকি গোটা বিশ্বের আলবিসেলেস্তাদের মাঝেও ছড়িয়ে যায়। এবার সেই ইতিহাসগড়া মুহূর্ত নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে ফিফা।
‘রিটেন ইন দ্য স্টারস’ নামে ফিফার অফিসিয়াল এই ডকুফিল্মটি ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ওয়েলশ অভিনেতা মিকায়েল শীন। এক ঘণ্টা ৩৪ মিনিটের ডকুমেন্টারিটি ফিফার ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে উপভোগ করা যাবে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম মার্কা।
কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৭২টি গোল হয়েছে। সেসব মুহূর্ত ছাড়াও ডকুফিল্মে যোগ করা হয়েছে বৃহৎ পরিসরে দর্শকদের উদ্দীপনা ও ম্যাচের টানটান সব উত্তেজনাকর দৃশ্য। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তেই গ্যালারির দর্শক ও স্ক্রিনের সামনে বসা ভক্তদের ব্যস্ত থাকতে হয়। অথচ ফুটবলের এই মেগা ইভেন্টের প্রতিটি সেকেন্ডই ঘটনাবহুল। ফলে এমন অনেক মুহূর্ত থাকে যা দর্শকদের চোখ এড়িয়ে যায়। ফুটবলভক্তদের এসব অদেখা দৃশ্যও ক্যামেরার নানা অ্যাঙ্গেলে তুলে আনা হয়েছে এই ফিল্মে।
মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৩.৪ মিলিয়ন মানুষ কাতারের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেছে। গড়ে প্রতিম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ৫৩ হাজার দর্শক। এর আগের রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়ে এখানে গড়ে ৪০০ দর্শক বেশি ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হওয়া সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও (১৭২ গোল) ভেঙে দিয়েছে কাতারের বিশ্বমঞ্চ। এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে তিনটি তারকা অর্জন করা আর্জেন্টিনা ট্রাইবেকে ৪-০ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে মাহেন্দ্রক্ষণ নিজেদের করে নিয়েছে।
ডকুমেন্টারিতে অভিনেতা শীনের কণ্ঠে বেজে ওঠে, ‘এটি সেই গল্প (রিটেন ইন দ্য স্টারস), যেখানে ৩২টি দল জড়িত। এখানে রয়েছে আর্জেন্টিনা ও ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসির গল্প; যারা কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বজয়ের মাইলফলক নিজেদের করে নিয়েছে। তারা এমন একটি ম্যাচ উপহার দিয়েছে যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোর একটি।’
পরবর্তীতে ডকু’র সর্বশেষ ধাপে বলা হয়, ‘এটি ৩২টি দেশের স্বপ্নজয়ের এক নান্দনিক যাত্রার কাহিনী, যার মাধ্যমে পরিশেষে চূড়ান্ত সফলতা পান লিওনেল মেসি। এর মাধ্যমে তার ফুটবল ক্যারিয়ার অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করে। যা আলবিসেলেস্তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ এবং সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত এনে দিয়েছে।’