কাতার বিশ্বকাপে শোচনীয় বিদায় হয়েছিল অন্যতম ফেভারিটের তকমা নিয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া বেলজিয়াম। বছরের অধিকাংশ সময় র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা দলটির এমন পরিণতি নিয়ে ট্রলও কম হয়নি। অবশ্য আসরটিতে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি দলের অন্যতম প্রধান তারকা রোমেলো লুকাকু। দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেমেই তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন। আর তাতেই ৩-০ গোলে উড়ে গেছে সুইডেন।
এদিন অবশ্য সুইডেনের হয়ে সর্বোচ্চ বয়সে মাঠে নামার রেকর্ড গড়েছেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে নামা ইব্রার বয়স ৪১ বছর। কেবল সুইডিশদের হয়েই নয়, ইউরোপা বাছাইয়ে অংশ নেওয়া সর্বোচ্চ বছর বয়সী খেলোয়াড়ও তিনি।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) ডমেনিকো টেডেস্কো’র অধীনে প্রথমবারের মতো খেলতে নামে বেলজিয়াম। শুরুটা ভালোভাবেই হয়েছে এই কোচের। এর আগে বিশ্বকাপে টানা নেতিবাচক ফলের পর আগের কোচ রবার্তো মার্টিনেজকে ছাটাই করে দেওয়া হয়। টেডেস্কো এর আগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লিপজিগের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বেলজিয়ামকে প্রথম লিড এনে দেন লুকাকু। এই ইন্টার মিলান তারকার সাম্প্রতিক ক্লাব পারফরম্যান্সও বেশ দুর্দান্ত। সুইডিশ ডিফেন্ডারদের অতিরিক্ত স্পেস দেওয়ার খেসারত ভালোভাবেই দিতে হয়েছে। যা মোক্ষমভাবে কাজে লাগিয়েছেন লুকাকু। অন্যদিকে ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় সুইডেন ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নিজের দ্বিতীয় ও হ্যাটট্রিক গোল করেন লুকাকু। এ নিয়ে ১০৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৭১টি।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে মাঠে নামেন ইব্রাহিমোভিচ। ইউরো বাছাইয়ে খেলতে অবসর ভেঙে তাকে দলে ফেরানো হয়। এর আগে তিনি অবসর নিলেও দেশের জার্সিতে নির্ভরযোগ্য কোনো নতুন তারকা না ওঠায় দলে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।