এবার বাংলাদেশ সফরে আসেননি স্যাম বিলিংস। এই সময়টায় পাকিস্তান সুপার লিগে (পাকিস্তান) খেলছেন তিনি। ক্যারিয়ারের লম্বা সময় ধরে ইংল্যান্ড দলে আসা-যাওয়ার মাঝে থাকা বিলিংসের অবশ্য তাতে আক্ষেপও নেই। জাতীয় দলের সাইড বেঞ্চে না থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে একাদশে সুযোগ পাওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে যতবারই খেলার সুযোগ হয়েছে, ততবারই আলো ছড়িয়েছেন বিলিংস। এই সময়টায় ৯১.১২ স্ট্রাইক রেট এবং ৪৭.৮৮ গড়ে রান তুলেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
তারপরও জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোন, জনি বেয়ারস্টো, দাভিদ মালানদের ভিড়ে জায়গা হচ্ছে না বিলিংসের। বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন বিলিংস নিজেও। ইংল্যান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়ক বাটলারের সঙ্গে কথা বলেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ঝুঁকেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সফর মিস করছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে বিলিংস বলেন, ‘না। তবে সবাই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চায়। অবশ্যই সবাই চায়। তবে আমার বয়স এখন ৩১। ৮ বছর ধরে আমি পানি টেনেছি, এখন খেলতে চাই। উপভোগ করতে চাই। আমি ধারাবাহিকভাবেই খেলতে চাই এবং বেঞ্চে বসে থাকতে চাই না। ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা আমি কাজে লাগাতে চাই।’
‘এমন না যে আমি খেলতে চাইনি। রব কি এবং জস বাটলারের সঙ্গে এ নিয়ে আমার লম্বা কথা হয়েছে। আমি মনে করি, ক্যারিয়ারের এই অবস্থায় আমার ক্রিকেট খেলা উচিত। ইংল্যান্ড দলে জায়গা পাওয়া খুব কঠিন।’
‘রান করলেই দলে জায়গা পাবেন’- এমন বার্তা পেয়েছিলেন বিলিংস। যদিও রান করার পরেও জাতীয় দলে অবহেলিতই থেকে গেছেন তিনি। এ নিয়ে খানিকটা আফসোসও আছে বিলিংসের মাঝে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি পর্যাপ্ত (রান) করেছি। উপমহাদেশের উইকেটে আমার খেলা ভালোই মানিয়ে যায়। যে বার্তাটি আমি পেয়েছিলাম তা হচ্ছে আপনি যদি রান করেন তাহলে যেকোনো ভাবেই আপনাকে দলে নেয়া হবে।