ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য শেষ উইকেটে প্রয়োজন ছিল ৭ রান, অন্যদিকে এক উইকেট তুলতে পারলে জয় নিশ্চিত হবে নিউজিল্যান্ডের। জেমস অ্যান্ডারসন চার মেরে সেই সমীকরণ আরও সহজ করেন। ইংলিশদের জয়ের জন্য যখন ২ রান দরকার, তখন নেইল ওয়েগনারের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলের হাতে ধরা পড়েন অ্যান্ডারসন। আর তাতে এক রানের নাটকীয় জয় পায় কেন উইলিয়ামসনের দল।
প্রথম ইনিংসে ফলোঅনে পড়েও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে কিউইরা। টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো ঘটলো এমন ঘটনা। আর দ্বিতীয় বারেরমতো কোনো দল টেস্ট ম্যাচে এক রানের ব্যবধানে জয় পেল। এর ঠিক ৩০ বছর আগে প্রথমবার এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল সাদা পোশাকের ক্রিকেট।
ওয়েলিংটনে ২৫৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রলি এবং বেন ডাকেট। ২৪ রান করে ক্রলি বিদায় নিলে ভাঙে ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংলিশরা।
দলীয় তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন পাঁচ ব্যাটার। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে স্টোকস এবং জস বাটলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। তবে ৩৩ রান করে অধিনায়ক ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর বাটলার ফিরেছেন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯৫ রান। শেষ পর্যন্ত ২৫৬ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ৪৩৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ২০৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। যে কারণে ফলোঅনে পড়ে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮৩ রান করে কিউইরা।