দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) একটি টুর্নামেন্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাফের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার সভা রয়েছে। সেই সভায় এই বছরের সাফের চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ধারণ হবে।
চলতি বছরের ১২-২০ জুন সাফের সম্ভাব্য সময়। এই সময়ে সাফ আয়োজনে একমাত্র নেপালই আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ৷ সাফের এই আসর পৃষ্ঠপোষকতা করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের শর্ত, টুর্নামেন্ট ভারতে করতে হবে। স্বাগতিক হওয়ার বিষয়টি তাই নির্ধারণ হবে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবারের অনলাইন সভায়।
সাফের নির্বাহী কমিটি পুর্নাঙ্গরুপে নেই। তাই আগামী মঙ্গলবারের সভায় নির্বাহী কমিটির সঙ্গে প্রতি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে। শ্রীলঙ্কা ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় অনুপস্থিত থাকবে।
সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল স্বাগতিক সম্পর্কে বলেন, সভায় যদি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তাদের নাম গৃহীত হয় তখন তাদের শর্ত মেনে টুর্নামেন্ট ভারতে আয়োজন করতে হবে। ভারত টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হওয়ার জন্য আবেদন না করলেও সাফের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে ভারত স্বাগতিক হতে সম্মত। ভারত স্বাগতিক হলে পাকিস্তান দলের ভিসা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হবে সভায়।
সভায় যদি পৃষ্ঠপোষকের শর্ত বা অন্য বিষয় গৃহীত না হয় তাহলে টুর্নামেন্ট ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সভায় পৃষ্ঠপোষক গৃহীত না হলে নেপালে টুর্নামেন্ট হবে। সেক্ষেত্রে ফিফা থেকে পাওয়া সাফের ফান্ড টুর্নামেন্টের জন্য ব্যয় হবে।
২০২১ সালে সাফ অনুষ্ঠিত হয়েছিল মালদ্বীপে। টুর্নামেন্ট স্বত্ব নিয়েছিল মালদ্বীপ। সেই অর্থ এখনও পায়নি সাফ। চলতি সপ্তাহে এএফসি কংগ্রেসে মালদ্বীপ ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মালদ্বীপের ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সাফের অর্থ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।