পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অনলাইন কোচ হিসেবে ফিরতে পারেন মিকি আর্থার। তিনি বেশিরভাগ সময়ে ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ ও দিক নির্দেশনা দেবেন বাবর আজমদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিই প্রথম অনলাইন কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আর্থার ডার্বিশায়ার কাউন্টি দলের কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন। পাকিস্তান দলের দায়িত্ব নিলেও তিনি সব সময় সশরীরে মাঠে থাকবেন না। পিসিবি তার সহকারী কোচ নিয়োগ করবে, যিনি পাকিস্তান দলের সঙ্গে মাঠে সারাক্ষণ হাজির থাকবেন। যদিও ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময়ে আর্থারকে দেখা যাবে বাবর আজমদের সঙ্গে।
কিছুদিন আগেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি জানিয়েছিলেন যে, আর্থারকে পাকিস্তানের কোচ হিসেবে ফেরানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরেই মিকির অনলাইনে কোচের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি সামনে আসে। আর্থার প্রসঙ্গে নাজাম শেঠি বলেন, একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই, আমি নিজে মিকির সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছি এবং আলোচনা ৯০ শতাংশ এগিয়ে গিয়েছে। অনেকগুলো বিষয়ে নজর দিতে হচ্ছে। আশা করি তাড়াতাড়িই ভালো খবর শোনাতে পারব। যদি মিকি আসে ও নিজের (সাপোর্ট স্টাফের) টিম গড়ে নেবে। আমাদের শুধু দেখতে হবে তাদের পারিশ্রমিক কতটা দিতে হবে। আগামী ২-৩ দিনেই বিষয়টার সমাধান হয়ে যাবে।
মিকি আর্থার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে একাধিক দেশকে কোচিং করিয়েছেন। পাকিস্তান ছাড়াও তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মিকির অনলাইন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলা প্রসঙ্গে কাটছাঁট প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। তিনি স্পষ্ট জানান যে, অনলাইন কোচিংয়ের বিষয়টাই তার কাছে স্পষ্ট নয়। পাকিস্তান ক্রিকেটে পছন্দ-অপছন্দের পুরনো রোগ নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন আফ্রিদি। তার দাবি, ক্রিকেট ও রাজনীতি একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলা উচিত নয়।
আফ্রিদি বলেন, অনলাইন কোচিংয়ের বিষয়টাই আমার মাথায় ঢুকছে না। বিদেশি কোচই কেন? পাকিস্তানেও তো অনেকে রয়েছে। আমাদের ক্রিকেটে পছন্দ-অপছন্দের সিস্টেম রয়েছে। ক্রিকেট আর রাজনীতি মিশিয়ে ফেলা ঠিক নয়।