ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নিরাপদ আগামীর বাংলাদেশ: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না জুলুম-অন্যায়কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না নাগেশ্বরীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পছন্দের বিয়ের বিপক্ষে অধিকাংশ পাকিস্তানি সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাহজালাল বিমানবন্দরে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেফতার জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে ০৩(তিন) কেজি গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নম্বর থেকে শুরু হয়ে শাহ আলী অতিক্রম প্রদক্ষিণ করে গাবতলীতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা  মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই দেশর এই ক্রান্তিকালে সম্পূর্ণ অবিবেচনাপ্রসূত এবং অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে গণবিরোধী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারকে ফ্যাসিবাদী দাবি করে তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে ২০১০ সাল থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ১০ বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০১০ সালের মার্চে প্রথম বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। পরের বছর ২০১১ সালে গ্রাহক পর্যায়ে দুই দফা বাড়ানো হয়েছিল। ২০১২ সালেও খুচরা বিদ্যুতের দাম দুই দফা বাড়ানো হয়। এরপর ২০১৪ সালের মার্চে বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট করা হয় ৬ টাকা ১৫ পয়সা। আর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তা ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৬ টাকা ৩৩ পয়সা।

তিনি বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার করে কারান্তরীণ করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী জুলম-নির্যাতন ও দলন-পীড়ন চালিয়ে অতীতে কোনও আদর্শবাদী শক্তিকে নির্মূল করা যায়নি; আর কখনো যাবেও না। তিনি সরকারকে নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক ও গণবিরোধী রাজনীতি বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, নাসির উদ্দীন ও শাহ আলম তুহিন, শূরা সদস্য ডা. মঈন উদ্দীন, আব্দুল মতিন খান, আব্দুল মান্নান ও সাইফুল কাদের ও ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৫:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নম্বর থেকে শুরু হয়ে শাহ আলী অতিক্রম প্রদক্ষিণ করে গাবতলীতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা  মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই দেশর এই ক্রান্তিকালে সম্পূর্ণ অবিবেচনাপ্রসূত এবং অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে গণবিরোধী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারকে ফ্যাসিবাদী দাবি করে তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে ২০১০ সাল থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ১০ বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০১০ সালের মার্চে প্রথম বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। পরের বছর ২০১১ সালে গ্রাহক পর্যায়ে দুই দফা বাড়ানো হয়েছিল। ২০১২ সালেও খুচরা বিদ্যুতের দাম দুই দফা বাড়ানো হয়। এরপর ২০১৪ সালের মার্চে বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট করা হয় ৬ টাকা ১৫ পয়সা। আর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তা ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৬ টাকা ৩৩ পয়সা।

তিনি বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার করে কারান্তরীণ করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী জুলম-নির্যাতন ও দলন-পীড়ন চালিয়ে অতীতে কোনও আদর্শবাদী শক্তিকে নির্মূল করা যায়নি; আর কখনো যাবেও না। তিনি সরকারকে নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক ও গণবিরোধী রাজনীতি বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, নাসির উদ্দীন ও শাহ আলম তুহিন, শূরা সদস্য ডা. মঈন উদ্দীন, আব্দুল মতিন খান, আব্দুল মান্নান ও সাইফুল কাদের ও ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান প্রমুখ।