রাজনৈতিক বন্দী মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিবাদী গণঅবস্থান শুরু হয়েছে। তবে প্রতিবাদী গণঅবস্থান বেলা ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা পরে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করে দেখা যায়, সার্বিক নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থা করছেন। তবে বেলা ১১টা বাজলেও গনতন্ত্র মঞ্চের কোনো নেতাকর্মীকে প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা যায়নি।
পরে দুপুর ১২টায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রতিবাদী গণঅবস্থানের উদ্বোধন করেন।এদিকে প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাতে সবুজ কার্পেট বিছিয়ে পেছনে সাদা পর্দা টেনে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। কথা বলার জন্য রাখা হয়েছে একটি ডায়েস। পরে অবশ্য সাড়ে বেলা ১১টার দিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে দেখা যায়। তিনি জানান, আরও ২০/২৫ মিনিট পরে প্রতিবাদী গণঅবস্থান শুরু হবে। নেতাকর্মীরা সবাই পথে আছেন।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) একটি মিছিল নিয়ে প্রথম মঞ্চের সামনে আসেন। এসময় তারা ডাইরেক্ট অ্যাকশন বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে রাস্তায় তারা কার্পেট বিছিয়ে বসে পড়েন। এরপর ১১টা ৪৮ মিনিটে গণসংহতি আন্দোলন একটি মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে আসে।
নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস ক্লাবে জোনে দায়িত্ব পালন করা শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর শেখ বাশার বলেন, আমরা সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রস্তুত রয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চ বাংলাদেশের সাতটি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক জোট। মঞ্চের দলগুলো হলো— জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।