ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিহত পিতার খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে অসহায় পাঁচ মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

  • রুবিনা শেখ
  • আপডেট সময় ০৮:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬১৬ বার পড়া হয়েছে

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের গোয়াসপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১১ নভেম্বর খুন হন মুজিবুর রহমান (৪৫) নামের পাঁচ জন নাবালিকা কন্যা সন্তানের পিতা।

নিহত পিতা মুজিবুর রহমান এর খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে অদ্য ৮/০১/২০২৩ ইং দুপুর ৩ ঘটিকায় সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তার নাবালিকা মেয়েরা। সাথে ছিলেন মুজিবুর রহমান আপন ছোট ভাই সজিবুর রহমান এবং ভাতিজা আজাদ মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত মুজিবুর রহমানের মেয়ে জাহানারা আক্তার।

এ সময় তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি আমার নিহত পিতার খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে আজ আপনাদের সামনে এসেছি আমার সাথে আছে বোন রুমা আক্তার, ছাবিরা ইয়াসমিন, ফাহমিদা আক্তার ও ফারজানা আক্তার সবাই (নাবিলকা)। সংবাদ সম্মেলনে নিহত মুজিবুর রহমানের মেয়ে জাহানারা আক্তার অভিযোগ করে বলেন ঘটনার দিন সকালে আমার মা চাঁদমা বেগম পারিবারিক প্রয়োজনে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় আমাদের পার্শবর্তী আইন উদ্দিন আমার মাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, তাহা শুনে আমার পিতা মুজিবুর রহমান সেখানে উপস্থিত হলে পূর্ব থেকে উৎপেঁতে থাকা আইন উদ্দিন, ফজির উদ্দিন, কয়েছ উদ্দিন, আবিদ আহমেদ, নাছির উদ্দিন, আবু বক্কর, নাজমা বেগম, মন্টু মিয়া এবং শামীম আহমদ সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ (চার পাঁচ) জন লোক দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, ধারালো দা, এবং লোহার রড দিয়ে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে আমার পিতার উপর উপুর্জুপরী হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের শোর চিৎকার শুনে সেখানে আমার চাচা সচিবুর রহমান ও মুহিবুর রহমান সেখানে গেলে উল্লেখিত লোকজন আমার চাচাদের উপরও হামলা চালিয়ে আহত করে।

গুরুতর আহত আমার পিতাকে চিকিৎসার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার পিতাকে মৃত ঘোষণা করেন । আমার পিতার বিচারের দাবিতে আমার আপন চাচা মুহিবুর রহমান বাদী হয়ে গোলাপ গঞ্জ মডেল থানায় আইন উদ্দিন, ফজির উদ্দিন, কয়েছ উদ্দিন, আবিদ আহমেদ, নাছির উদ্দিন, আবু বক্কর, নাজমা বেগম, মন্টু মিয়া এবং শামীম আহমদ সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ (চার পাঁচ) জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । মামলা নং (১৩) তারিখ ১৩/১১/২০২২ইংরেজি ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা খুবই গরীব ও অসহায়, সামান্য কৃষিজমি ছাড়া আমাদের আর কোন সহায় সম্বল নেই। আর এই জমি জোর করে উল্লেখিত লোকজন নেওয়ার পায়তারা করছিলো আর মূলত বিবাদীদের সাথে আমাদের পরিবারের এই জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব থেকে ঝামেলা ছিল । আমার পিতার হত্যাকারী মামলার ৭নং আসামি নাজমা বেগম গত ২৪/১১/২০২২ ইং তারিখে জামিনে বের হয়ে সিলেটের আদালতে আমাদের উপর লুটপাটের একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহা বর্তমানে আদালতের নির্দেশে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় তদন্তাধীন আছে।

নিহত মুজিবুর রহমানের পরিবারের অভিযোগ তাদের পিতাকে হত্যা করার পর ও বিবাদী আসামিগণ মামলা তোলে নেওয়ার জন্য এখন তাদের চাঁদমা বেগম ও চাচাদের কে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি ।আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং পুলিশের আইজি স্যার মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন করছি আমরা এতিম অসহায়! আমাদেরকে বাঁচাতে এবং আমার পিতার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে আপনাদের নিজেকে আকুল আবেদন করছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিহত পিতার খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে অসহায় পাঁচ মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৮:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের গোয়াসপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১১ নভেম্বর খুন হন মুজিবুর রহমান (৪৫) নামের পাঁচ জন নাবালিকা কন্যা সন্তানের পিতা।

নিহত পিতা মুজিবুর রহমান এর খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে অদ্য ৮/০১/২০২৩ ইং দুপুর ৩ ঘটিকায় সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তার নাবালিকা মেয়েরা। সাথে ছিলেন মুজিবুর রহমান আপন ছোট ভাই সজিবুর রহমান এবং ভাতিজা আজাদ মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত মুজিবুর রহমানের মেয়ে জাহানারা আক্তার।

এ সময় তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি আমার নিহত পিতার খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে আজ আপনাদের সামনে এসেছি আমার সাথে আছে বোন রুমা আক্তার, ছাবিরা ইয়াসমিন, ফাহমিদা আক্তার ও ফারজানা আক্তার সবাই (নাবিলকা)। সংবাদ সম্মেলনে নিহত মুজিবুর রহমানের মেয়ে জাহানারা আক্তার অভিযোগ করে বলেন ঘটনার দিন সকালে আমার মা চাঁদমা বেগম পারিবারিক প্রয়োজনে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় আমাদের পার্শবর্তী আইন উদ্দিন আমার মাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, তাহা শুনে আমার পিতা মুজিবুর রহমান সেখানে উপস্থিত হলে পূর্ব থেকে উৎপেঁতে থাকা আইন উদ্দিন, ফজির উদ্দিন, কয়েছ উদ্দিন, আবিদ আহমেদ, নাছির উদ্দিন, আবু বক্কর, নাজমা বেগম, মন্টু মিয়া এবং শামীম আহমদ সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ (চার পাঁচ) জন লোক দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, ধারালো দা, এবং লোহার রড দিয়ে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে আমার পিতার উপর উপুর্জুপরী হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের শোর চিৎকার শুনে সেখানে আমার চাচা সচিবুর রহমান ও মুহিবুর রহমান সেখানে গেলে উল্লেখিত লোকজন আমার চাচাদের উপরও হামলা চালিয়ে আহত করে।

গুরুতর আহত আমার পিতাকে চিকিৎসার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার পিতাকে মৃত ঘোষণা করেন । আমার পিতার বিচারের দাবিতে আমার আপন চাচা মুহিবুর রহমান বাদী হয়ে গোলাপ গঞ্জ মডেল থানায় আইন উদ্দিন, ফজির উদ্দিন, কয়েছ উদ্দিন, আবিদ আহমেদ, নাছির উদ্দিন, আবু বক্কর, নাজমা বেগম, মন্টু মিয়া এবং শামীম আহমদ সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ (চার পাঁচ) জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । মামলা নং (১৩) তারিখ ১৩/১১/২০২২ইংরেজি ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা খুবই গরীব ও অসহায়, সামান্য কৃষিজমি ছাড়া আমাদের আর কোন সহায় সম্বল নেই। আর এই জমি জোর করে উল্লেখিত লোকজন নেওয়ার পায়তারা করছিলো আর মূলত বিবাদীদের সাথে আমাদের পরিবারের এই জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব থেকে ঝামেলা ছিল । আমার পিতার হত্যাকারী মামলার ৭নং আসামি নাজমা বেগম গত ২৪/১১/২০২২ ইং তারিখে জামিনে বের হয়ে সিলেটের আদালতে আমাদের উপর লুটপাটের একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহা বর্তমানে আদালতের নির্দেশে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় তদন্তাধীন আছে।

নিহত মুজিবুর রহমানের পরিবারের অভিযোগ তাদের পিতাকে হত্যা করার পর ও বিবাদী আসামিগণ মামলা তোলে নেওয়ার জন্য এখন তাদের চাঁদমা বেগম ও চাচাদের কে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি ।আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং পুলিশের আইজি স্যার মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন করছি আমরা এতিম অসহায়! আমাদেরকে বাঁচাতে এবং আমার পিতার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে আপনাদের নিজেকে আকুল আবেদন করছি।