আওয়ামী লীগকে সরকারের পাহারাদার উল্লেখ করে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যতদিন সরকার, সেই সরকারের পাহারাদার হলো আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি। বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘তারা ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে আগামীকাল সরকারের পতন ঘটাতে। তারা যদি সরকারের পতন ঘটানোর কোনো কর্মসূচি নিয়ে থাকে তাহলে আমাদের দায়িত্ব কী? আমরাই পাহারাদার হিসেবে সরকারকে পাহারা দেব।’
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘বিএনপির গণমিছিল ছিল ২৪ ডিসেম্বর। সেদিন আমাদের জাতীয় সম্মেলন ছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তারিখ পরিবর্তনের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তারা তারিখ পরিবর্তন করেছে। সেই তারিখ পরিবর্তনের মধ্যেই আমরা একটা রহস্য খুঁজে পেয়েছি এবং ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ তারিখ ছিল শনিবার। আমরা যারা রাজনীতি করি, শুক্রবার কোনো কর্মসূচি পারতপক্ষে দেই না। দেওয়া হয় না। কিন্তু তাদের পরিবর্তিত তারিখ দিয়েছে শুক্রবার। এটা আমাদের খুব গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। শুক্রবার দেওয়ার কারণ কী? তাদের সঙ্গে আছে জঙ্গি, যুদ্ধপরাধী ও জামায়াতের মতো বড় ষড়যন্ত্রকারী দল। সেই কারণে শুক্রবারের এই কর্মসূচি নিয়ে আমাদের ভেবে দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এখন আর গোপনে ষড়যন্ত্র করছে না, প্রকাশ্যেই করছে। প্রকাশে ঘোষণা দিচ্ছে সরকারের পতন ঘটাবে। তারা নতুন ২৭ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচি হাস্যকর। তাদের মুখে এমন কর্মসূচি শোভা পায় না। তারা যে ষড়যন্ত্র করছে, তার জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। একের পর এক চক্রান্ত করছে। বিজয়ের মাসে তারা ঘোষণা দিয়েছিল ১০ তারিখ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবেন, এয়ারপোর্ট থেকে সোজা বঙ্গভবনে। তারা ক্ষমতা দখল করবে, আর আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা আঙুল চুষবো।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন এমপি, ডা. দিলীপ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোর্শেদ কামাল, মিরাজ হোসেন, মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুন্নবী সাগর, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।