আজ ১৬ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক ওজোনস্তর সুরক্ষা দিবস বা বিশ্ব ওজোন দিবস। ১৯৯৪ সালে ওজোনস্তরের ক্ষয় ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরির জন্য প্রথম দিবসটি পালন করা হয়।
ওজোন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল- জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’। ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়।
১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোনস্তর সুরক্ষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ওই দিনই প্রথম দিবসটি পালন করা হয়। এই মন্ট্রিল প্রটোকলে বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণত বিষুবরেখার কাছাকাছি ওজোনের পরিমাণ কম, আর মেরু এলাকায় বেশি। বসন্তকালে ওজোনস্তর বেশি পুরু, আবার শরতে কম। উত্তর আর দক্ষিণ গোলার্ধের মাঝামাঝি থেকে উচ্চতর অক্ষাংশে বেশি পরিমাণে ওজোন গ্যাস থাকে। ওজোনের এ তারতম্য আবহাওয়ার পরিবর্তন ও সৌরশক্তির তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু মানুষের জীবনযাপন পদ্ধতি ও অতিরিক্ত কার্বন ব্যবহারের কারণে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে। ৭০ এর দশকে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে।
আরও জানা যায়, ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সূর্য থেকে ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে আসছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষসহ সব প্রাণী। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ত্বকের ক্যান্সারসহ নানা কঠিন ও জটিল রোগে। রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনারসহ এ রকম বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে নিঃসরিত সিএফসি বা ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের কারণে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।