মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কেয়া আরহাম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ফাউন্ডেশন এর কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দের উপস্থিতিতে প্রথমেই ডাবপট্টি প্রধান কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলন সম্মান প্রদর্শন ও বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা হয়।
এরপর নওগাঁর প্রধান সড়কে বিজয় দিবস উপলক্ষে র্যালি করেন এবং সর্বশেষে বিজয় স্মৃতিস্তম্ভ পুষ্পস্তবক দেওয়ার মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,কেয়া আরহাম ফ্যাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান – লায়লা আরজুমান ( কেয়া)।
জেনারেল সেক্রেটারী – মোঃ লতিফুল আলম( তোতা)৷ কোষাধ্যক্ষ – মোঃ মিলন আলী,নিবাহী সদস্য – মিলন কুমার আচায্য, নিবাহী- সদস্য মোছাঃ- আনজুমান আরা। নিবাহী সদস্য- মোহাম্মদ আলী- নিবাহী- সদস্য – মো’ স্বপন চৌধুরী। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশন এর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। আলোচনা সভায় কেয়া আরহাম ফাউন্ডেশন এর জেনারেল সেক্রেটারি লতিফুল আলম ( তেতা ) বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সৃষ্টি হয়েছিল তার গৌরবজনক সমাপ্তি ঘটে সেই বছরেই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে। আজ সেই মহান বিজয় দিবস।
এ দেশের জাতীয় জীবনে এ দিবসটি সবচেয়ে গৌরবময় ও পবিত্রতম দিন। বিজয় দিবসের আনন্দোজ্জল এ মুহূর্তে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে তা হলো, এ দেশের অসংখ্য দেশপ্রেমিক শহিদের কথা। ১৯৭১ সালে এ দিনে বাংলার মানুষ পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক স্বৈরশাসনের ২৪ বছরের গ্লানি থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছিল। তাঁরা তাঁদের অমূল্য জীবন বিসর্জনের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন দেশ, আমরা এ স্বাধীন দেশর নাগারক।
তাই জাতীয় অগ্রগতি ও চেতনার মূলে বিজয় দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। সমাপনী বক্তব্যই কেয়া আরহাম ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান লায়লা আরজুমান ( কেয়া ) বলেন, মুক্তিযুুদ্ধ শুধু আমাদের বিজয়ের ইতিহাস নয়, আমাদের দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা যোগায় এবং আমাদেরকে উজ্জীবিত করে। দেশ বিনির্মাণের জন্য দরকার আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করা। তিনি আরও বলেন বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব ও উন্নয়নের সরকার। এ সরকার আবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিনত হবে।