নওগাঁয় জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো সবুজ হোসেন ও জাতীয় দৈনিক লাল সবুজ পত্রিকার নওগাঁ জেলা রিপোর্টার মো মানিক হোসেন কে তিলোকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো রেজাউল করিম ও মেম্বার জগলু কর্তৃক হুমকির বিরুদ্ধে থানায় ৫৯৫ নাম্বার জিডি।
জিডি থেকে জানা যায় যে,নওগাঁ সদর উপজেলার ৪ নং তিলোকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছিলেন তিনি ও তার সহযোগী ইউপি সদস্য যগলু। ১০ ডিসেম্বর রবিবার তিলোকপুর ইউনিয়ন পরিষদের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) অনিয়মের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান বলেন আমি তিলোকপুরের মাস্তান, চেয়ারম্যান হয়েছি পরে তোমাদের সাহস কি করে হয় আমাদের বিরুদ্ধে লেখার।
সাংবাদিকদের পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয় চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও ইউপি সদস্য যগলু। ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য বলে এই দুইজন সাংবাদিককে আটকে রাখা হোক একপর্যায়ে তারা ধাক্কাধাক্কি করে দুইজন সাংবাদিক কে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেয়। সাংবাদিকগণ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত জিডি দায়ের করেন। সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ খুবই নিন্দা জনক। সাংবাদিক জাতির বিবেক বা জাতির দর্পণ যদি সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশ করতে না দেয়া হয় বা প্রকাশ করলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি পা ভেঙে ফেলার হুমকি মাস্তানের ভয় ভীতি দেখানো হয় তাহলে এক সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় জাতির বিবেক নামক সাংবাদিকদের খুঁজে পাওয়া যাবেনা। থানার জিডি নাম্বার ৫৯৫ এর ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল আহসান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব । সাংবাদিকগণ প্রশাসনের সহধর ভাইয়ের মতো।
আমরা ইদানিং এ ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝেই শুনতে পাচ্ছি যে সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে নওগাঁ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের সমাজের দর্পণ তাদের সাথে এমন আচরণ খুবই দুঃখ ও নিন্দা জনক। আমি সদর ওসির সাথে এ ব্যাপারে কথা বলব এবং শীঘ্রই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।