বগুড়ার শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শেফালী বেগম (৪৮) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত আটজন গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। এরআগে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বেলঘরিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত শেফালী বেগম ওই গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার স্ত্রী। সংঘর্ষে আহতরা হলেন বেলঘরিয়া গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে বাচ্ছু মিয়া (৫০), তার ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (৩৫), রাব্বী মিয়া (২৫), রাজমহর আলী ওরফে ঠান্ডু মিয়া (৫০) ও স্ত্রী রুবি বেগমসহ (৪০) আটজন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সকালে প্রতিবেশী রাজমহর ওরফে ঠান্ডুর বাড়ির সামনে বাচ্ছু মিয়া ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। এ সময় খড়কুটো ও ধুলাবালি ঠান্ডুর মিয়ার বাড়ির ভেতরে যায়।
এ নিয়ে শেফালী বেগম ও ঠান্ডুর স্ত্রী রুবি বেগমের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরবর্তী সময়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে ইট দিয়ে শেফালী বেগমের বুকে আঘাত করা হয়। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরমধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেফালী বেগম মারা যান।
নিহত গৃহবধূর স্বামী বাচ্ছু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ঠান্ডু মিয়া, তার স্ত্রী রুবি বেগম, ছেলে রফিক, মুস্তাকসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তাদের হামলায় আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠান্ডু মিয়ার দাবি, প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় তাদের পক্ষের তিন থেকে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে।