পুলিশের এসবি শাখায় চট্টগ্রাম রেঞ্জে কর্মরত এ এস আই মাসুদুল আলম সহ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কাছে তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন কুমিল্লা জেলার বাংগরা বাজার থানাধীন দিঘির পাড় (কাউন্নামুড়ি) গ্রামের মরহুম ইব্রাহীম মিয়ার পুত্র ইসমাইল ও মাহবুবুল আলম ওরফে আলামিন পিতা আমিরুজ্জামান গ্রাম উত্তর দিঘীরপাড় থানা বাংগরা বাজার জেলা কুমিল্লা এএসআই মাসুদুল আলমের আপন ভাই মাহবুবুল আলম আলামিন।তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অপকর্মের অভিযোগ।
মাহাবুবুল আলম ও ইসমাইলের অত্যাচারে ভুক্তভোগী ফিরোজা বেগমের দাবি, পাকা রাস্তার পাশে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আমি খাজনা প্রদান করি,অথচ আমার কোটি টাকার সম্পদ আমার ভাতিজা মাসুদুল আলম পিতা আমিরুজ্জামান গ্রাম উত্তর দিঘীরপা থানা বাংগরা বাজার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জে এসবিতে চাকরিরত ও তার ভাই মাহবুবুল আলম ওরফে আলামিন কে হাত করিয়া সম্পদ লোভী ইসমাইল জোর করিয়া আমার সম্পত্তি নিজের দখলে নেয়। পরে গোপনে অবৈধ উপায়ে একটি দলিল করেন।
এলাকাবাসী ও চেয়ারম্যান বাহার খান এর কাছে বিচার প্রার্থী হলে,চেয়ারম্যান দলিল অনুযায়ী জায়গা গ্রহণ করিতে বলেন। আমার সম্পত্তি বুঝিয়ে নিতে গেলে প্রকাশ্যে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ইসমাইল ও মাহবুবুল আলম ওরফে আলামিন গং । ফ্রিজা বেগম আরো জানায় আমি আমার সম্পত্তির কাছে গেলে ইসমাইল ও তার দলবল ও ভাতিজা মাহবুবুল আলম ওরফে আলামিন সহ আমাকে মারধর করেন, সে বিষয়ে মাসুদ আলম ওরফে মাসুদকে জানালে তিনিও ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন এবং আমার সম্পত্তির কাছে না এসে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যেতে বলেন।
তিনি আরো বলেন এলাকায় ইসমাইল কে এক নামে সুদ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনে। কোথাও বিচার না পেয়ে কুমিল্লা ৮নং আমুলি আদালতে ইসমাইল, মাহবুবুল আলম ওরফে আলামিন, ও কামরুল ইসলাম সহ আরো অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি, মামলাটি বর্তমানে কুমিল্লা ডিবিতে তদন্ত দিন আছে।
ঘটনার বিস্তারিত মুক্তির চেতনায় বাংলাদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম আর এ সুজন কে জানাই, সে মাসুদুল আলম/ মাহাবুবুল আলম ও ইসমাইলের কাছে তথ্য জানতে চাওয়ার পর আরো ক্ষিপ্ত হয় আমাদের উপর এবং তার কিছু দিন পরে সাংবাদিক সুজন,কে ১ নং আসামি করে আমার বৃদ্ধ বোন পিয়ারা বেগম, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ বোনের জামাই সুলতান আহমেদ,ও আমাকে সহ ০৪ জন কে আসামি করে আদালতে ০২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন মাহবুবুল আলম ওরফে আলামিন ও ইসমাইল যাহার সিআর মামলা নম্বর ৪৬৫/২২তারিখ ০৪/১০/২২, এবং আলামিনের মামলার ০৬ দিন পরে আরো একটি মামলা দায়ের করেন ইসমাইল আসামি করেন সাংবাদিক সুজন আমার ছেলে নিজাম উদ্দিন,আমার বৃদ্ধ বোন জামাই সুলতান আহমদ কে। ইসমাইল, যে মামলাটি করেন যাহার মামলা নম্বর সিআর ৪৭২/২২তাং১০/১০/২০২২, দুটি মামলা ই বর্তমানে বাঙ্গুরা বাজার থানায় তদন্তধীন আছে।
মামলায় সাংবাদিক নেতা সুজন কে আসামি করার বিষয় মামলার সাক্ষী বর্তমান মেম্বার (কাউন্নামূড়ি) আউয়াল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না আমাকে অযথা সাক্ষী দিয়েছে এ ব্যাপারে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আমি বলেছি এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, এবং আমার সাক্ষী দেওয়ার ব্যাপারে আমার এলাকার চেয়ারম্যান বাহার খাঁন কে আমি অবগত করেছি তিনি বলছেন কোন সমস্যা হবে না। অন্যান্য সাক্ষীদের সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সুজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সম্পত্তি আত্মসাৎ এর ব্যাপারে ফিরোজা বেগমের ভাতিজা এসবি চট্টগ্রাম রেঞ্জে কর্মরত এ এস আই মাসুদুল আলম এর কাছে তথ্য চেয়েছি, তিনি বলছেন আমাদের ফুপু ভাইয়ের ছেলের ব্যাপার আমরা নিজেরাই মিট করব,মাহবুবুল আলম ও ইসমাইলের কাছে ফিরোজা বেগমকে মারধরের বিষয় জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করেন। সাংবাদিক সুজন জানায় এএসআই মাসুদুল আলম এর কাছে তথ্য চাওয়া ই তারা আমার অপরাধ মনে করেছে, যেহেতু তারা ফুফুদের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন। এ ধরনের জঘন্য আচরণ একজন পুলিশ অফিসারের করা উচিত হয়নি আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অচিরেই মামলার ব্যাপারে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে লিখিত অভিযোগ আকারে জানানো হবে। এবং প্রেস কাউন্সিল আইন অনুযায়ী,বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অপরাধীদের আইন বিরোধী হিংসাত্মক আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
এ ব্যাপারে মিথ্যা মামলার বাদী মাহবুবুল আলম ওরফে আলামিন পিতা আমিরুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সাংবাদিক সুজনের বুদ্ধিতে আমার ফুফু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাই তাকে আসামি করেছি। আপনার বৃদ্ধ ফুপা সাবেক সৈনিক কর্মকর্তাকে কেন আসামি করেছেন জানতে চাইলে কোন সুদত্তর দিতে পারেনি। অন্য মামলার বাদী ইসমাইল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায় ইসমাইল ও আলামিন এলাকায় সুদের ব্যবসা করে তাদের ভয়ে কেহ তাদের সামনে মুখ খুলতে পারে না। তাদের সিন্ডিকেটের সামনে এলাকাবাসী জিম্মি। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে নির্বাচন করায় নিজেকে যুবলীগ কর্মী হিসেবে দাবী করে।
অন্য আরেকজন ভুক্তভোগী পেয়ারা বেগম জানায় আমরা আলামিন ও ইসমাইল এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় জিডি পর্যন্ত করেছি। তাতেও তারা শান্ত হয়নি, তারা সব সময় বলে আসছে আমাদের টাকার কাছে আইনবন্দী, আমরা যেটা চাই সেটাই হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, ভাই পুলিশ অফিসার হওয়ায় মাহাবুল আলম আলামিনের দাপটের শেষ নেই। অন্যায় অবিচার জমি দখল হুন্ডি, সুদ ব্যবসার জড়িত মাহবুবুল আলম আলামিন ও ইসমাইল, এদের প্রটোকল দিচ্ছেন ভাই পুলিশ অফিসার এএসআই মাসুদুল আলম ওরফে ( মাসুদ) উক্ত ঘটনা সাথে যেহেতু সাংবাদিকতার মান সম্মান জড়িত তাই ঘটনার সত্য উদঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে পেশাদারিত্ব সাংবাদিক সমাজ।