ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ আদায়ের সওয়াব

একজন মুমিনের বড় দায়িত্বটি হলো সময়মতো নামাজ পড়া। এটি ফরজ দায়িত্ব। যেখানে যে অবস্থায়ই থাকেন না কেন, সময়মতো নামাজ পড়তেই হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘…নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

কোরআনের এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা নির্ধারিত সময়ে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উত্তম হলো আউয়াল ওয়াক্তে বা প্রথম ওয়াক্তে নামাজ পড়া। প্রত্যেক নামাজের মোট সময়ের প্রথম অর্ধাংশকে আউয়াল ওয়াক্ত বলা হয়।

আয়েশা (রা.) বলেন, মহানবী (স.) শেষ জীবন পর্যন্ত দ্বিতীয়বার কখনও শেষ ওয়াক্তে সালাত আদায় করেননি। (তিরমিজি: ১৭৪)। এ থেকে আউয়াল ওয়াক্তের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়।

আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত আলী রা.-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! ৩টি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না। ১. নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না। ২. মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না। ৩. কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’ -(তিরমিজি ১/২০৬)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ আদায়ের সওয়াব

আপডেট সময় ০১:০৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

একজন মুমিনের বড় দায়িত্বটি হলো সময়মতো নামাজ পড়া। এটি ফরজ দায়িত্ব। যেখানে যে অবস্থায়ই থাকেন না কেন, সময়মতো নামাজ পড়তেই হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘…নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

কোরআনের এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা নির্ধারিত সময়ে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উত্তম হলো আউয়াল ওয়াক্তে বা প্রথম ওয়াক্তে নামাজ পড়া। প্রত্যেক নামাজের মোট সময়ের প্রথম অর্ধাংশকে আউয়াল ওয়াক্ত বলা হয়।

আয়েশা (রা.) বলেন, মহানবী (স.) শেষ জীবন পর্যন্ত দ্বিতীয়বার কখনও শেষ ওয়াক্তে সালাত আদায় করেননি। (তিরমিজি: ১৭৪)। এ থেকে আউয়াল ওয়াক্তের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়।

আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত আলী রা.-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! ৩টি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না। ১. নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না। ২. মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না। ৩. কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’ -(তিরমিজি ১/২০৬)