ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নে কাজ করবে এটুআই ও রানার

দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অটোমোবাইল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহন তৈরিতে যৌথভাবে কাজ করবে এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। 

এ লক্ষ্যে বুধবার (২৩ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলকের উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং রানার অটোমোবাইলস পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকের আওতায় দেশে একটি টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং নাগরিককেন্দ্রিক অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তোলার জন্য এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে এটুআই-রানার অটোমোবাইলস, যেখানে এটুআই বিশ্বের বিকাশমান প্রযুক্তির আলোকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার মূল্যায়ন করে দেশের অটোমোবাইল খাতের জন্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উদ্ভাবন অন্বেষণ ও গবেষণায় সহায়তা দেবে।

অন্যদিকে এসব গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেবে রানার, যার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক যানবাহনসহ উন্নত প্রযুক্তির ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচলন সম্ভব হবে। এ ছাড়া সমঝোতা স্মারকের সফল বাস্তবায়নের জন্য এটুআই-আইল্যাব ও রানার উভয়ই একজন করে ফোকাল মনোনীত করবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেকে আলাদা আলাদা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র না করে এটুআই ল্যাবের মাধ্যমে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে আরঅ্যান্ডডি করে খুব সহজে ও কম খরচে এই খাতে জড়িত দেশের অন্য বেসরকারি খাত ও অটোমোবাইলস কম্পানিগুলোকে সহযোগিতা দেওয়া সম্ভব হবে। এভাবে দেশের স্বল্প সম্পদ কাজে লাগিয়ে অটোমোবাইলস শিল্পকে আরো বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নে কাজ করবে এটুআই ও রানার

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অটোমোবাইল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহন তৈরিতে যৌথভাবে কাজ করবে এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। 

এ লক্ষ্যে বুধবার (২৩ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলকের উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং রানার অটোমোবাইলস পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকের আওতায় দেশে একটি টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং নাগরিককেন্দ্রিক অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তোলার জন্য এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে এটুআই-রানার অটোমোবাইলস, যেখানে এটুআই বিশ্বের বিকাশমান প্রযুক্তির আলোকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার মূল্যায়ন করে দেশের অটোমোবাইল খাতের জন্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উদ্ভাবন অন্বেষণ ও গবেষণায় সহায়তা দেবে।

অন্যদিকে এসব গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেবে রানার, যার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক যানবাহনসহ উন্নত প্রযুক্তির ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচলন সম্ভব হবে। এ ছাড়া সমঝোতা স্মারকের সফল বাস্তবায়নের জন্য এটুআই-আইল্যাব ও রানার উভয়ই একজন করে ফোকাল মনোনীত করবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেকে আলাদা আলাদা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র না করে এটুআই ল্যাবের মাধ্যমে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে আরঅ্যান্ডডি করে খুব সহজে ও কম খরচে এই খাতে জড়িত দেশের অন্য বেসরকারি খাত ও অটোমোবাইলস কম্পানিগুলোকে সহযোগিতা দেওয়া সম্ভব হবে। এভাবে দেশের স্বল্প সম্পদ কাজে লাগিয়ে অটোমোবাইলস শিল্পকে আরো বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি হবে।