ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে আজ দেশে ফিরেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে ভারতের জয়পুর থেকে রওয়ানা হয়ে রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯০৭ ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট অবতরণ উপলক্ষে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বিডি কাল্লা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

জয়পুর ত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাজস্থানের আজমির শরিফে খাজা গরীবে নেওয়াজ হযরত মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)-এর দরগা শরিফ জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে তার চার দিনব্যাপী সফর শেষ করেন।

প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেশের জনগণের উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ এবং সমস্ত মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে নফল নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে অংশ নেন। তিনি দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার পবিত্র মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ভারত সফর শুরু করেছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সফরের প্রথম দিন বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর দিল্লীতে তার অবস্থান স্থল আইটিসি মৌর্য হোটেলের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন ৬ সেপ্টেম্বর, শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান এবং তার সম্মানে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ কর্তৃক কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের সমঝোতা স্মারকও রয়েছে।

দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের গৃহীত বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক মৈত্রী পাওয়ার প্লান্ট ইউনিট-১ রয়েছে। পরে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

যৌথ বিবৃতিতে ভারত বাংলাদেশি যে কোনো পণ্য তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানি করতে বিনা মাশুলে ট্রানজিট ব্যবহারে সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেন।

শেখ হাসিনা পৃথকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ সেপ্টেম্বর রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরদিন শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল জয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

একই দিন আইসিটি মৌর্য হোটেল কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং যুদ্ধাহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেনা ও অফিসারদের উত্তরসূরিদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০২:৫৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে আজ দেশে ফিরেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে ভারতের জয়পুর থেকে রওয়ানা হয়ে রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯০৭ ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট অবতরণ উপলক্ষে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বিডি কাল্লা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

জয়পুর ত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাজস্থানের আজমির শরিফে খাজা গরীবে নেওয়াজ হযরত মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)-এর দরগা শরিফ জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে তার চার দিনব্যাপী সফর শেষ করেন।

প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেশের জনগণের উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ এবং সমস্ত মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে নফল নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে অংশ নেন। তিনি দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার পবিত্র মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ভারত সফর শুরু করেছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সফরের প্রথম দিন বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর দিল্লীতে তার অবস্থান স্থল আইটিসি মৌর্য হোটেলের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন ৬ সেপ্টেম্বর, শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান এবং তার সম্মানে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ কর্তৃক কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের সমঝোতা স্মারকও রয়েছে।

দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের গৃহীত বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক মৈত্রী পাওয়ার প্লান্ট ইউনিট-১ রয়েছে। পরে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

যৌথ বিবৃতিতে ভারত বাংলাদেশি যে কোনো পণ্য তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানি করতে বিনা মাশুলে ট্রানজিট ব্যবহারে সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেন।

শেখ হাসিনা পৃথকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ সেপ্টেম্বর রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরদিন শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল জয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

একই দিন আইসিটি মৌর্য হোটেল কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং যুদ্ধাহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেনা ও অফিসারদের উত্তরসূরিদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।