ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

শিল্পে কমিয়ে কৃষি ঋণ বাড়া‌নোর তাগিদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

আগামী‌তে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট হ‌তে পা‌রে। ওই প‌রি‌স্থি‌তি‌তে সংকট মোকা‌বিলায় শিল্প ঋণের চেয়ে কৃষি খা‌তে ঋণ বিতরণে গুরুত্ব বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে বাংলা‌দেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২২ ন‌ভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বৈঠকে এ বিষয়টি উঠে আসে।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন বৈঠক শেষে বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফসহ সকলেই কৃষিঋণের ওপর গুরুত্ব আরোপের পরামর্শ দিয়েছে। কারণ প্রান্তিক পর্যায়ের ঋণে ক্ষতির পরিমাণও অনেক কম।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট কাটাতে ফসল উৎপাদনের বিকল্প নেই। তাই খাদ্যের ঘাটতি পূরণে কৃষকদের ল‌ক্ষ্যের চে‌য়ে বেশি বেশি ঋণ দেওয়া জরু‌রি।

এদিকে ৩১ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক; যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। মহামারির মধ্যে যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের পণ্য বাজারে অস্থিরতার মধ্যে যখন সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে, দৃশ্যত তা অনুসরণ করেই কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে।

ফসল ও সবজি চাষে চলতি অর্থবছরে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংক ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বিতরণ করবে।

গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয় ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার চেয়ে বেশি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

শিল্পে কমিয়ে কৃষি ঋণ বাড়া‌নোর তাগিদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

আপডেট সময় ০৯:২৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

আগামী‌তে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট হ‌তে পা‌রে। ওই প‌রি‌স্থি‌তি‌তে সংকট মোকা‌বিলায় শিল্প ঋণের চেয়ে কৃষি খা‌তে ঋণ বিতরণে গুরুত্ব বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে বাংলা‌দেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২২ ন‌ভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বৈঠকে এ বিষয়টি উঠে আসে।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন বৈঠক শেষে বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফসহ সকলেই কৃষিঋণের ওপর গুরুত্ব আরোপের পরামর্শ দিয়েছে। কারণ প্রান্তিক পর্যায়ের ঋণে ক্ষতির পরিমাণও অনেক কম।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট কাটাতে ফসল উৎপাদনের বিকল্প নেই। তাই খাদ্যের ঘাটতি পূরণে কৃষকদের ল‌ক্ষ্যের চে‌য়ে বেশি বেশি ঋণ দেওয়া জরু‌রি।

এদিকে ৩১ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক; যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। মহামারির মধ্যে যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের পণ্য বাজারে অস্থিরতার মধ্যে যখন সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে, দৃশ্যত তা অনুসরণ করেই কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে।

ফসল ও সবজি চাষে চলতি অর্থবছরে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংক ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বিতরণ করবে।

গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয় ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার চেয়ে বেশি।