ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

আবারও দাম বাড়লে কারখানাগুলো বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবে না

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দর ঘোষণা করা হয়েছে। খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে আপাতত দাম বাড়ছে না। তবুও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাব পোশাক খাতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য তারা ভোক্তা বা খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার পাশাপাশি বকেয়া অর্থ উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে পোশাক খাত গভীর সংকটে পড়বে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (২০ নভেম্বর) এসব কথা জানান তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট বেড়েছে। বাড়তি দামেও আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালাচ্ছি। ফলে উৎপাদন খরচে দিন দিন বাড়ছে।

তিনি বলেন, এখন নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে আমাদের উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। পাশাপাশি জিনিসপত্রের দাম হু হু করে আরও বাড়বে। জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।

জুলাই থেকে পোশাকের অর্ডার ও দাম কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে বিশ্ব বাজারে আমাদের বড় ধরনের সমস্যা হবে। আমরা অর্ডার হারাতে চাই না। ব্যবসার স্বার্থে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

পাওয়ার গ্রিড, তিতাস বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোকে অবৈধ লাইন কেটে দেওয়ার পাশাপাশি মিটারের কারসাজি বন্ধ করার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তাতে সরকারের অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যুক্ত হবে বলে মনে করেন তিনি।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ও ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের এমডি শহীদউল্লাহ আজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যুতের দাম পাইকারিতে বাড়লে এর প্রভাব আলটিমেটলি আমাদের ওপরই পড়বে। সেক্ষেত্রে এখন না হোক, কিছুদিন পরে এটা আমাদের ওপরই আসবে।

তিনি বলেন, আপাতত খুচরা পর্যায়ে না বাড়ালেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখবেন বিদুৎ বিল বাড়িয়ে দেখাবে। বিভিন্ন চার্জ যুক্ত করবে। প্রভাবটা আমাদের ওপরই পড়বে।

পোশাক মালিকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে না বাড়ালেও বাজারে এর প্রভাব পড়বে। তাই সরকারকে অনুরোধ করব খুচরা পর্যায়ে যাতে না বাড়ানো হয়।

তিনি বলেন, যদি খুচরা পর্যায়ে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। তবে উৎপাদন খরচ বাড়বে। তাতে বর্তমানে কারখানাগুলো যে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে, আগামীতে এটাও দিতে পারবে না। কারণ এমনিতেই বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য সংকটে রয়েছি।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের প্রতি কিলোওয়াট ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা নতুন দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

অর্থাৎ প্রতি কিলোওয়াটে ১ টাকা ৩ পয়সা করে বেড়েছে। শতাংশের হিসাবে ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। আগামী বিল মাস ডিসেম্বর থেকেই নতুন এই মূল্য কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।

চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব জমা দেয় পিডিবি। এরপর ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করা হয়েছে। এরপর সবশেষ ১৩ অক্টোবর দাম না বাড়ানোর ঘোষণা দেয় কমিশন। তবে কমিশন সে সময় এই প্রস্তাবের বিপরীতে রিভিউ করার সুযোগ রেখে দেয় পিডিবির জন্য। আর সেই সুযোগ নিয়ে পিডিবি গত সপ্তাহে রিভিউ আপিল করে। এক সপ্তাহের যাচাই-বাছাই শেষে আজ নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হলো।

জানা গেছে, এই দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দাম বাড়ানোর পরও বিদ্যুতের উৎপাদন পর্যায়ে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।

সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি আরেক দফা বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। পাইকারি, খুচরা ও সঞ্চালন- এই তিন পর্যায়ে তখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা করা হয়। যা আগে ছিল প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭৭ পয়সা।

পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট গড়ে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা করা হয়। যা আগে ছিল প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৭৭ পয়সা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন মূল্যহার বা হুইলিং চার্জ প্রতি ইউনিটে ০ দশমিক ২৭৮৭ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ০ দশমিক ২৯৩৪ টাকা করা হয়ে। ওই বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করে বিইআরসি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

আবারও দাম বাড়লে কারখানাগুলো বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবে না

আপডেট সময় ১০:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দর ঘোষণা করা হয়েছে। খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে আপাতত দাম বাড়ছে না। তবুও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাব পোশাক খাতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য তারা ভোক্তা বা খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার পাশাপাশি বকেয়া অর্থ উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে পোশাক খাত গভীর সংকটে পড়বে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (২০ নভেম্বর) এসব কথা জানান তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট বেড়েছে। বাড়তি দামেও আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালাচ্ছি। ফলে উৎপাদন খরচে দিন দিন বাড়ছে।

তিনি বলেন, এখন নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে আমাদের উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। পাশাপাশি জিনিসপত্রের দাম হু হু করে আরও বাড়বে। জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।

জুলাই থেকে পোশাকের অর্ডার ও দাম কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে বিশ্ব বাজারে আমাদের বড় ধরনের সমস্যা হবে। আমরা অর্ডার হারাতে চাই না। ব্যবসার স্বার্থে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

পাওয়ার গ্রিড, তিতাস বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোকে অবৈধ লাইন কেটে দেওয়ার পাশাপাশি মিটারের কারসাজি বন্ধ করার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তাতে সরকারের অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যুক্ত হবে বলে মনে করেন তিনি।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ও ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের এমডি শহীদউল্লাহ আজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যুতের দাম পাইকারিতে বাড়লে এর প্রভাব আলটিমেটলি আমাদের ওপরই পড়বে। সেক্ষেত্রে এখন না হোক, কিছুদিন পরে এটা আমাদের ওপরই আসবে।

তিনি বলেন, আপাতত খুচরা পর্যায়ে না বাড়ালেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখবেন বিদুৎ বিল বাড়িয়ে দেখাবে। বিভিন্ন চার্জ যুক্ত করবে। প্রভাবটা আমাদের ওপরই পড়বে।

পোশাক মালিকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে না বাড়ালেও বাজারে এর প্রভাব পড়বে। তাই সরকারকে অনুরোধ করব খুচরা পর্যায়ে যাতে না বাড়ানো হয়।

তিনি বলেন, যদি খুচরা পর্যায়ে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। তবে উৎপাদন খরচ বাড়বে। তাতে বর্তমানে কারখানাগুলো যে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে, আগামীতে এটাও দিতে পারবে না। কারণ এমনিতেই বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য সংকটে রয়েছি।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের প্রতি কিলোওয়াট ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা নতুন দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

অর্থাৎ প্রতি কিলোওয়াটে ১ টাকা ৩ পয়সা করে বেড়েছে। শতাংশের হিসাবে ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। আগামী বিল মাস ডিসেম্বর থেকেই নতুন এই মূল্য কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।

চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব জমা দেয় পিডিবি। এরপর ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করা হয়েছে। এরপর সবশেষ ১৩ অক্টোবর দাম না বাড়ানোর ঘোষণা দেয় কমিশন। তবে কমিশন সে সময় এই প্রস্তাবের বিপরীতে রিভিউ করার সুযোগ রেখে দেয় পিডিবির জন্য। আর সেই সুযোগ নিয়ে পিডিবি গত সপ্তাহে রিভিউ আপিল করে। এক সপ্তাহের যাচাই-বাছাই শেষে আজ নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হলো।

জানা গেছে, এই দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দাম বাড়ানোর পরও বিদ্যুতের উৎপাদন পর্যায়ে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।

সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি আরেক দফা বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। পাইকারি, খুচরা ও সঞ্চালন- এই তিন পর্যায়ে তখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা করা হয়। যা আগে ছিল প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭৭ পয়সা।

পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট গড়ে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা করা হয়। যা আগে ছিল প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৭৭ পয়সা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন মূল্যহার বা হুইলিং চার্জ প্রতি ইউনিটে ০ দশমিক ২৭৮৭ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ০ দশমিক ২৯৩৪ টাকা করা হয়ে। ওই বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করে বিইআরসি।