‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনা সুদে এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার শাহবাগে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার দবির হোসেন, তার স্ত্রী চামিলী আক্তার ও হাসিনা আক্তার এবং সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে দেলোয়ার হোসেন ও জহুরা বেগম। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মানিকগঞ্জ সদর ও সিংগাইর থানার পুলিশ এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে বিনা সুদে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা বলেন। এসব লোকদের বলা হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ঢাকার শাহবাগে যারা যাবেন, তাদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে।
ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন নিয়ে জরিনা কলেজ মোড় এলাকায় দবির হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে অন্তত ছয়টি বাসে করে ঢাকার শাহবাগের উদ্দেশ্য রওনা হয়। শাহাবাগ যাওয়ার পর পরিস্থিতি খারাপ দেখে ওই বাসে করেই দুপুরে মানিকগঞ্জ ফিরে আসেন তারা। এরপর দবিরের বাড়ি ঘেরাও করেন এসব লোকজন। বেলা দুইটার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় দবির, তার স্ত্রী চামিলী ও হাসিনাকে আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নাজমা বেগম বলেন, ঢাকার শাহবাগ এলাকায় সমাবেশে গেলে এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে দবির ও তার স্ত্রী তাদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে নেন। ভোরে জরিনা কলেজ থেকে ছয়টি বাসে চার শতাধিক নারী-পুরুষ সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দবির এলাকার লোক, দবিরকে আমরা আগে থেকেই চিনি এর জন্য তার কথায় আমরা প্রলুব্ধ হয়েছি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, একই অভিযোগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড থেকে দেলোয়ার ও জহুরাকে আটক করা হয়েছে।