ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের

ঢাকার গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া-২ সিটি মার্কেটের বেইজমেন্টে ৫৩১টি দোকান উচ্ছেদ করে ব্যবসায়ীদের জীবিকা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এর ফলে ব্যবসায়ীরা কর্মক্ষেত্র হারিয়ে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া মার্কেটের বেজমেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা এবং জাকের সুপার মার্কেটের সভাপতি কে এম সোহেল ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্যে বলেন, “দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার পরও বিনা নোটিশে আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। আমরা এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, উচ্চ আদালত দোকান পুনঃনির্মাণ করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়ার পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু এখনো সিটি কর্পোরেশন রায় বাস্তবায়ন না করে পার্কিংয়ের টেন্ডার আহ্বান করেছে, যা আদালত স্থগিত করেছেন।

ব্যবসায়ীদের মতে, মার্কেটের বেইজমেন্টগুলো অবকাঠামোগতভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য উপযোগী নয়। ২৩ বছর ধরে এখান থেকে সিটি কর্পোরেশন বছরে প্রায় ৩.৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। তারা প্রস্তাব দিয়েছেন, দোকানগুলো পুনঃনির্মাণ করে বরাদ্দ দিলে রাজস্ব আয় বেড়ে বছরে প্রায় ১৯.১১ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। অন্যদিকে, পার্কিং ব্যবস্থা চালু করলে সর্বোচ্চ আয় হতে পারে বছরে মাত্র ৩৯.৪৫ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, এই উচ্ছেদের ফলে দোকানের সঙ্গে যুক্ত ৫৩১টি কারখানায় কর্মরত সহস্রাধিক শ্রমিক এবং তাদের পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই কারখানাগুলো পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে সরকারকে পরোক্ষভাবে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করত। সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে কে এম সোহেল বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করে পরিবারগুলোকে রক্ষায় সহায়তা করা হয়।

ব্যবসায়ীরা দাবি করে বলেন, উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে দ্রুত দোকান পুনঃনির্মাণ করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হোক এবং পার্কিং ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশন যেন গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিকল্প জায়গা ব্যবহার করার দাবি করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হোক। দোকান মালিকরা আশা প্রকাশ করেছেন, সিটি কর্পোরেশন উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এবং তাদের জীবিকা পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেবে। তারা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের

আপডেট সময় ০৬:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া-২ সিটি মার্কেটের বেইজমেন্টে ৫৩১টি দোকান উচ্ছেদ করে ব্যবসায়ীদের জীবিকা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এর ফলে ব্যবসায়ীরা কর্মক্ষেত্র হারিয়ে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া মার্কেটের বেজমেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা এবং জাকের সুপার মার্কেটের সভাপতি কে এম সোহেল ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্যে বলেন, “দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার পরও বিনা নোটিশে আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। আমরা এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, উচ্চ আদালত দোকান পুনঃনির্মাণ করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়ার পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু এখনো সিটি কর্পোরেশন রায় বাস্তবায়ন না করে পার্কিংয়ের টেন্ডার আহ্বান করেছে, যা আদালত স্থগিত করেছেন।

ব্যবসায়ীদের মতে, মার্কেটের বেইজমেন্টগুলো অবকাঠামোগতভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য উপযোগী নয়। ২৩ বছর ধরে এখান থেকে সিটি কর্পোরেশন বছরে প্রায় ৩.৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। তারা প্রস্তাব দিয়েছেন, দোকানগুলো পুনঃনির্মাণ করে বরাদ্দ দিলে রাজস্ব আয় বেড়ে বছরে প্রায় ১৯.১১ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। অন্যদিকে, পার্কিং ব্যবস্থা চালু করলে সর্বোচ্চ আয় হতে পারে বছরে মাত্র ৩৯.৪৫ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, এই উচ্ছেদের ফলে দোকানের সঙ্গে যুক্ত ৫৩১টি কারখানায় কর্মরত সহস্রাধিক শ্রমিক এবং তাদের পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই কারখানাগুলো পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে সরকারকে পরোক্ষভাবে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করত। সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে কে এম সোহেল বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করে পরিবারগুলোকে রক্ষায় সহায়তা করা হয়।

ব্যবসায়ীরা দাবি করে বলেন, উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে দ্রুত দোকান পুনঃনির্মাণ করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হোক এবং পার্কিং ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশন যেন গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিকল্প জায়গা ব্যবহার করার দাবি করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হোক। দোকান মালিকরা আশা প্রকাশ করেছেন, সিটি কর্পোরেশন উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এবং তাদের জীবিকা পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেবে। তারা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।