পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু ফয়জুদ্দিন মীর এর ৫ জন ছেলে হোসেন আলী মীর, হাতেম আলী মীর, আজাহার আলী মীর, ইয়াসিন মীর, হাছেন মীর এরা দক্ষিণ মিঠাখালী মৌজার জেল নং ৪৭ খতিয়ান নং ১০৯০ দাগ নং ৭৭, ১৭৫, ১৭৬, ১৮৪, ১৮৫, ১৮৬ এর ২ একর ২০ শতাংশ জমি থেকে পাশ্ববর্তী আমিন উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে আঃ কাদের হাওলাদারের কাছে ১ একর ৬৫ শতাংশ জমি ১৯৫৭ সালে বিক্রি করেন।
উক্ত জমি আঃ কাদের হাওলাদারের ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় স্থানীয় মোহাম্মদ আলীর ছেলে সৈজদ্দিন শরীফ ও আইজৈদ্দিন শরীফ ১ একর ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে থাকেন। এদের কাছ থেকে পূর্বের বিক্রিত মালিক ইয়াছিন আলী মীর এর ছেলে রুহুল আমিন মীর, নুরুল আমীন মীর, হাবিব মীর এরা ৩ ভাই ৬৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এবং একই বংশের লালমিয়া মীর ১০ শতাংশ ও তার ছেলে আফজাল মীর ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে দলীল মুলে মালিক হয়ে প্রায় ৩০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে।
সম্প্রতি উক্ত জমি থেকে পূর্বের বিক্রিত আরেক এক অংশীদার হাছেন আলী মীর এর ছেলে ফারুক মীর, ওসমান মীর, সিদ্দিক মীর ও সোবহান মীরের ছেলে আলম মীর জমি পাওয়ার দাবিতে এরা সকলে মিলে ৪৩ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করে নেয়। এতে ভুক্তভোগীরা বাঁধা প্রদান করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও জীবন নাশের হুমকি প্রাদান করেন।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তারা বাংলাদেশ সরকার সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানান এবং তাদের জমি ফেরত চান। বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত ওসমান মীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পূর্বে আমার বাবা ও চাচারা ৫ ভাই মিলে যে দলিল দিয়ে জমি বিক্রি করেছে সেই দলিল ভূয়া, তারা কোনো রেকর্ড দিয়ে জমি বিক্রি করে নাই, রেকর্ড অনুযায়ী জমি আমাদের তাই দখল করেছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় শালিসদার খলিল জমাদ্দার জানান, কয়েক বার এ জমি নিয়ে শালিস বৈঠক হয়েছে। জমি রুহুল আমিন মীর ও লালমিয়া মীর এরা ক্রয় করে দীর্ঘ বছর যাবত ভোগ দখলে ছিলেন এবং বিজ্ঞ উকিলগন ভুক্তভোগীদের পক্ষে রায় দেওয়া স্বত্বেও প্রতিপক্ষরা জমি জোর পূর্বক দখল করেন।