ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে ঐতিহাসিক জাতীয় ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংগতি দিবস পালন

নাটোরে বিএনপির, ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংগতি দিবস পালন ও পথ সবার আয়োজন করা হয় । উক্ত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাটোর গণমানুষের নেতা, এ্যাডঃ এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (সাবেক উপমন্ত্রী) এ্যাড এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু পথসভায় বক্তব্য রাখেন তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে, দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচার সরকারের দুঃশাসন, বিনা ভোটের সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর উপর যে নিপীড়িত অত্যাচার জেল, জুলুম, হত্যা, চাকরি বঞ্চিত, মানুষের উপর নিষ্পেষিত অত্যাচার করে, শুধু তাই নয়, বিএনপির, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বিভিন্ন কার্য দিবস নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক জাতীয় ৭ই নভেম্বর বিপ্লব সংহতি দিবস।তিনি আরো বলেন নাটোরে রিকশাচালক, অটো রিক্সা, ভ্যান গাড়ি কারো কাছ থেকে চাঁদা বাজি করা বাদ দেয়নি।

তাই নাটোরবাসীকে বলতে চাই এখন থেকে কোন স্ট্যান্ডার বাজি ও চাঁদাবাজি চলবে না, উক্ত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন,নাটোর জেলা আহবাক,শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ, আরো উপস্থিত ছিলেন,নাটোরের যুবরাজ, এ হাই তালুকদার ডালিম, সভাপতি নাটোর যুবদল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, আনিসুর রহমান নাটোর যুবদল, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ সোহাগ আহমেদ, বড়াইগ্রাম উপজেলা, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মোস্তাফিজুর রহমান পাভেল, উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুল হক বকুল সাধারণ সম্পাদক বড়াইগ্রাম উপজেলা যুবদল ও জোনাইল ইউনিয়ন যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি আব্দুস সালাম যুবদল।
পরিশেষে এ্যাড এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য বিষয় যা বলেন –
৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সাল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি যুগ সন্ধিক্ষণ। এটা যেন পূর্বাপরের এক মেলবন্ধন। দুটি বিপরীত দ্বান্দ্বিক রাজনৈতিক সমীকরণের এক ঐতিহাসিক মোহনা। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা আরও কঠিন; শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এই কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষারই এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত হলো ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর হলো বাংলাদেশের নিপীড়িত বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের শৃঙ্খলমুক্তির এক অধ্যায়; যা এতোদিন পর্যন্ত বাকশালের নাগপাশে বন্দি ছিল।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে একটি দিক প্রতীয়মান হবে যে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা লাভ করি বটে। কিন্তু ’৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে এদেশের জনগণ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। কারণ ৭২-৭৫ পর্যন্ত মানুষ ছিল মৌলিক অধিকার তথা বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার এমনকি রাজনৈতিক স্বাধীনতা হতে বঞ্চিত।
স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগ এমন দুঃশাসন কায়েম করেছিল যার ফলে দুর্ভিক্ষ, চুরি, ডাকাতি, হত্যাকাণ্ড, নারী নির্যাতন, শিক্ষাঙ্গনে অরাজকতা, কালোবাজারী, মুনাফাখোরি, মজুদদারী, চোরাকারবারী এবং সবশেষে বাকশাল কায়েম করে মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করে নেয়।

সময়ের স্রোতে আওয়ামী লীগের চরম ব্যর্থতার সমাধির ওপর ৭ নভেম্বর দাঁড়িয়ে যায় জনগণের আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সোপান। সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ রেখে দেশের ও নিজেদের প্রয়োজনে জিয়াউর রহমানকে কারাগারের অন্ধকার জিঞ্জির ভেঙে বের করে নিয়ে আসে আলোয়।

আওয়ামী লীগ-বিএনপি সম্পর্কে বিশেষত জিয়াউর রহমান সম্পর্কে এত যে গোস্যা ও তীর্যক মনোভাব তার প্রধানতম কারণ হচ্ছে শেখ মুজিবের পলায়নপর মনোবৃত্তি ও নেতাদের ব্যর্থতার জন্য ১৯৭১ সালেই আওয়ামী লীগের হাত থেকে রাজনৈতিক ট্রফি জিয়াউর রহমানের হাতে চলে যায়।

৭ নভেম্বর কারাগারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে জিয়াউর রহমান হয়ে উঠেন দেশের মুকুটহীন সম্রাট; যা তাকে পরবর্তীতে রাজনৈতিক ময়দানের স্বার্থকতায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক মহান নেতায় পরিণত করে। অসীম সাহস, প্রগাঢ় দেশপ্রেম, দূরদৃষ্টি, ন্যায়বান ও সত্যনিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান হয়ে উঠেন সময়ের বরপুত্র।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সময়ের বরপুত্র হয়েছিলেন সত্য কিন্তু তিনি স

ময়কে কর্মের অধীন করে কালপ্রবাহকে ধাবিত করেছেন অনাধিকালের স্বার্থকতার এক যৌক্তিক মোহনায়।
স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মানুষের কাঙিক্ষত মুক্তির প্রয়োজনে জিয়াউর রহমান এমন একজন আলোচিত ব্যক্তি, এমন এক অবশ্যম্ভাবী চরিত্র হয়ে উঠেন যা অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতার মধ্যে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তিনি তার দেশপ্রেম ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দৃঢ়তা দিয়ে দেশকে নিশ্চিত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে তুলে আনেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে ঐতিহাসিক জাতীয় ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংগতি দিবস পালন

আপডেট সময় ০৭:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

নাটোরে বিএনপির, ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংগতি দিবস পালন ও পথ সবার আয়োজন করা হয় । উক্ত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাটোর গণমানুষের নেতা, এ্যাডঃ এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (সাবেক উপমন্ত্রী) এ্যাড এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু পথসভায় বক্তব্য রাখেন তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে, দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচার সরকারের দুঃশাসন, বিনা ভোটের সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর উপর যে নিপীড়িত অত্যাচার জেল, জুলুম, হত্যা, চাকরি বঞ্চিত, মানুষের উপর নিষ্পেষিত অত্যাচার করে, শুধু তাই নয়, বিএনপির, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বিভিন্ন কার্য দিবস নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক জাতীয় ৭ই নভেম্বর বিপ্লব সংহতি দিবস।তিনি আরো বলেন নাটোরে রিকশাচালক, অটো রিক্সা, ভ্যান গাড়ি কারো কাছ থেকে চাঁদা বাজি করা বাদ দেয়নি।

তাই নাটোরবাসীকে বলতে চাই এখন থেকে কোন স্ট্যান্ডার বাজি ও চাঁদাবাজি চলবে না, উক্ত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন,নাটোর জেলা আহবাক,শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ, আরো উপস্থিত ছিলেন,নাটোরের যুবরাজ, এ হাই তালুকদার ডালিম, সভাপতি নাটোর যুবদল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, আনিসুর রহমান নাটোর যুবদল, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ সোহাগ আহমেদ, বড়াইগ্রাম উপজেলা, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মোস্তাফিজুর রহমান পাভেল, উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুল হক বকুল সাধারণ সম্পাদক বড়াইগ্রাম উপজেলা যুবদল ও জোনাইল ইউনিয়ন যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি আব্দুস সালাম যুবদল।
পরিশেষে এ্যাড এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য বিষয় যা বলেন –
৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সাল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি যুগ সন্ধিক্ষণ। এটা যেন পূর্বাপরের এক মেলবন্ধন। দুটি বিপরীত দ্বান্দ্বিক রাজনৈতিক সমীকরণের এক ঐতিহাসিক মোহনা। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা আরও কঠিন; শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এই কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষারই এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত হলো ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর হলো বাংলাদেশের নিপীড়িত বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের শৃঙ্খলমুক্তির এক অধ্যায়; যা এতোদিন পর্যন্ত বাকশালের নাগপাশে বন্দি ছিল।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে একটি দিক প্রতীয়মান হবে যে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা লাভ করি বটে। কিন্তু ’৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে এদেশের জনগণ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। কারণ ৭২-৭৫ পর্যন্ত মানুষ ছিল মৌলিক অধিকার তথা বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার এমনকি রাজনৈতিক স্বাধীনতা হতে বঞ্চিত।
স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগ এমন দুঃশাসন কায়েম করেছিল যার ফলে দুর্ভিক্ষ, চুরি, ডাকাতি, হত্যাকাণ্ড, নারী নির্যাতন, শিক্ষাঙ্গনে অরাজকতা, কালোবাজারী, মুনাফাখোরি, মজুদদারী, চোরাকারবারী এবং সবশেষে বাকশাল কায়েম করে মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করে নেয়।

সময়ের স্রোতে আওয়ামী লীগের চরম ব্যর্থতার সমাধির ওপর ৭ নভেম্বর দাঁড়িয়ে যায় জনগণের আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সোপান। সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ রেখে দেশের ও নিজেদের প্রয়োজনে জিয়াউর রহমানকে কারাগারের অন্ধকার জিঞ্জির ভেঙে বের করে নিয়ে আসে আলোয়।

আওয়ামী লীগ-বিএনপি সম্পর্কে বিশেষত জিয়াউর রহমান সম্পর্কে এত যে গোস্যা ও তীর্যক মনোভাব তার প্রধানতম কারণ হচ্ছে শেখ মুজিবের পলায়নপর মনোবৃত্তি ও নেতাদের ব্যর্থতার জন্য ১৯৭১ সালেই আওয়ামী লীগের হাত থেকে রাজনৈতিক ট্রফি জিয়াউর রহমানের হাতে চলে যায়।

৭ নভেম্বর কারাগারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে জিয়াউর রহমান হয়ে উঠেন দেশের মুকুটহীন সম্রাট; যা তাকে পরবর্তীতে রাজনৈতিক ময়দানের স্বার্থকতায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক মহান নেতায় পরিণত করে। অসীম সাহস, প্রগাঢ় দেশপ্রেম, দূরদৃষ্টি, ন্যায়বান ও সত্যনিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান হয়ে উঠেন সময়ের বরপুত্র।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সময়ের বরপুত্র হয়েছিলেন সত্য কিন্তু তিনি স

ময়কে কর্মের অধীন করে কালপ্রবাহকে ধাবিত করেছেন অনাধিকালের স্বার্থকতার এক যৌক্তিক মোহনায়।
স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মানুষের কাঙিক্ষত মুক্তির প্রয়োজনে জিয়াউর রহমান এমন একজন আলোচিত ব্যক্তি, এমন এক অবশ্যম্ভাবী চরিত্র হয়ে উঠেন যা অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতার মধ্যে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তিনি তার দেশপ্রেম ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দৃঢ়তা দিয়ে দেশকে নিশ্চিত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে তুলে আনেন।