অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ সংক্রান্তে করা দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, শেখ রফিকুল ইসলাম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার, খাগড়াছড়িতে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালিকা, ভাই, বোনসহ নিকট আত্মীয়দের নামে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, শেখ রফিকুল ইসলাম তার কর্মকালে ফারহানা রহমান, শ্বশুর মুজিবুর রহমান, নিজের ৩ ভাই যথাক্রমে মাহফুজুর রহমান, এস এম আমিনুল ইসলাম, এস.এম দিদারুল ইসলাম এবং অপর ভাই শেখ মো. মনিরুল ইসলামের স্ত্রী পলি ইসলাম, ভাগ্নি তানজিলা হক উর্মি, ভাগ্নে উজ্জল মামুন চৌধুরী, ভাগ্নি জামাই সেলিম মীর এবং ভগ্নীপতি শাফায়েত হোসেন মোল্যার নামে বিপুল পরিমান সম্পদ অর্জন করেন। এসব তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ মর্মে প্রতিয়মান হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগটি অনুসন্ধান চলমান।
তফসিলে বর্ণিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসমূহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শেখ রফিকুল ইসলাম তার অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দ্বারা বর্ণিত ব্যক্তিগণের নামে অর্জন করেছেন। উক্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসমূহ অভিযোগ সংশ্লিষ্টগণ হস্তান্তর বা বন্ধক বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়।
অভিযোগ নিষ্পত্তির পূর্বে সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে কমিশনের কার্যক্রম ব্যাহত হবে। তাই অবিলম্বে তাদের অর্জিত নিম্ন বর্ণিত স্থাবর সম্পদসমূহ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ সমূহ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।