ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাফলং পাথর কুয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করার সুযোগ দানের দাবিতে এবং ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ওপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাফলংয়ে বিশাল এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব বন্ধনে সিলেটের সবকটি পাথর কোয়ারী খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে জাফলং ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় জাফলংয়ের মামার বাজার পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল থেকেই ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অচল পাথর কোয়ারী সচলের দাবিতে বিভিন্ন দাবি দাওয়া সংবলিত ফেস্টুন, ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে মামার বাজার পয়েন্টে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন জড়ো হতে থাকে। মানববন্ধনে গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ধশত ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

জাফলং ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন খাঁন আনু’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুল আলীমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহপরান, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল ইসলাম, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল আলম রানা, জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত,
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়ারত খান, জাফলং ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি ছবেদ মিয়া, জাফলং বল্লাঘাট পাথর শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সিরাজ মিয়াসহ জাফলংয়ের অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদকবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন, জাফলংসহ সকল পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ ও সরবরাহ করে অত্রাঞ্চলসহ দেশের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। বর্তমানে তারা অনাহার-অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। তাই শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দিলে এক দিকে যেমন বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে অপরদিকে সিলেটের লাখো মানুষের জীবীকার পথ সুগম হবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জাফলংসহ সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি সমূহ খুলে দিয়ে লাখো মানুষের জীবন রক্ষার সুযোগ করে দিতে দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

বক্তারা আরও বলেন, বিগত বছর গুলোতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা মিলে প্রকাশ্যে বালু, পাথর ও যন্ত্রদানব বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করে জাফলংকে ধ্বংস করেছে। সেই আওয়ামী চক্রটিই এখন তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জাফলংকে নেতৃত্ব শুণ্য করতে নানা রকম পায়তারার অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরকে দিয়ে সাজানো মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জাফলংয়ের সম্মানীয় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদেরকে হয়রানি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে উক্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।

এ দিকে কর্মসূচির সাথে একমত পোষণ করে সকাল থেকে জাফলংয়ের সকল স্টোন ক্রাশার মিল বন্ধ রাখা হয়। মানব বন্ধন চলাকালে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় সড়কের দুই পাশে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জাফলং পাথর কুয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ১১:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করার সুযোগ দানের দাবিতে এবং ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ওপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাফলংয়ে বিশাল এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব বন্ধনে সিলেটের সবকটি পাথর কোয়ারী খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে জাফলং ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় জাফলংয়ের মামার বাজার পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল থেকেই ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অচল পাথর কোয়ারী সচলের দাবিতে বিভিন্ন দাবি দাওয়া সংবলিত ফেস্টুন, ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে মামার বাজার পয়েন্টে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন জড়ো হতে থাকে। মানববন্ধনে গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ধশত ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

জাফলং ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন খাঁন আনু’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুল আলীমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহপরান, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল ইসলাম, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল আলম রানা, জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত,
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়ারত খান, জাফলং ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি ছবেদ মিয়া, জাফলং বল্লাঘাট পাথর শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সিরাজ মিয়াসহ জাফলংয়ের অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদকবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন, জাফলংসহ সকল পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ ও সরবরাহ করে অত্রাঞ্চলসহ দেশের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। বর্তমানে তারা অনাহার-অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। তাই শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দিলে এক দিকে যেমন বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে অপরদিকে সিলেটের লাখো মানুষের জীবীকার পথ সুগম হবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জাফলংসহ সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি সমূহ খুলে দিয়ে লাখো মানুষের জীবন রক্ষার সুযোগ করে দিতে দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

বক্তারা আরও বলেন, বিগত বছর গুলোতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা মিলে প্রকাশ্যে বালু, পাথর ও যন্ত্রদানব বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করে জাফলংকে ধ্বংস করেছে। সেই আওয়ামী চক্রটিই এখন তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জাফলংকে নেতৃত্ব শুণ্য করতে নানা রকম পায়তারার অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরকে দিয়ে সাজানো মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জাফলংয়ের সম্মানীয় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদেরকে হয়রানি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে উক্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।

এ দিকে কর্মসূচির সাথে একমত পোষণ করে সকাল থেকে জাফলংয়ের সকল স্টোন ক্রাশার মিল বন্ধ রাখা হয়। মানব বন্ধন চলাকালে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় সড়কের দুই পাশে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।