যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের সমন্বয়ে ক্রীড়া পরিদপ্তরের সহযোগিতায় Drowning Prevention Day(পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সচেতনামূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন স্কুলের ছাএ ছাত্রীদের নিয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ হাজারের বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। ব্যাপকভাবে স্বীকৃত না হলেও দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া, যা এটিকে একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত করেছে।
বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে সচেতনতা বাড়াতে এবং সারা দেশে হাজার হাজার শিশুর অকাল মৃত্যু রোধে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, কমিউনিটি ও ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউনিসেফ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, “এটি হৃদয়-বিদারক যে বাংলাদেশে প্রতি বছর পানিতে ডুবে এত মানুষ প্রাণ হারায়। আমরা জানি যে, এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। তাই সকলকে সাতার শিখতে হবে।এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং প্রতিটি শিশুর ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যক্তি, কমিউনিটি ও সরকারের প্রতি আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।”
জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিএ বলেন,পানিতে ডুবে মৃত্যুর প্রতি ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টি ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশে, যেখানে প্রতি বছর বন্যার কারণে স্থলভূমির বিশাল একটি অংশ তলিয়ে যায়, সেখানে সচেতনতা ও সাঁতারে দক্ষতার অভাব জীবনের জন্য হুমকি হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। গ্রামীণ এলাকার শিশুরা, যারা জলাশয়ের আশেপাশে বেড়ে ওঠে, তারাও প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।তাই সকলের প্রতি আহ্বান থাকবে যারা আমরা সাতার জানি না। আমরা সাতার শিখবো।আমাদের নিজের জীবন আমরাই রক্ষা করবো।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ কমিউনিটি মোবিলাইজার)(সি এম) কামরুল হাসান, কমিউনিটি ফেসিলাইজার(সিএফ) খাদিজা আক্তার জেবিন,কুহিনূর আক্তার টিটু সহ বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।