ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অনাগত সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না আলিফ মুসলিম বীর টিপু সুলতানকে কেন হিন্দুবিদ্বেষী প্রমাণ করতে চায় বিজেপি? জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস জরুরি অবস্থা জারি ও ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেস ক্লাবের অনিয়ম: বিদ্যুৎ বিল, লিজমানি ও বাণিজ্য মেলার দুর্নীতি নিয়ে বিতর্ক কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ২৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক দূর্গাপুরে ১৬৪০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষে অনিশ্চিয়তা শিশু সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে

হেফাজত দমনের মতো পরিস্থিতি এখন নেই, জনগণ জেগে উঠেছে

হেফাজতে ইসলামকে দমন করতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল এখন সেই অবস্থা ও পরিস্থিতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেছেন, জনগণ জেগে উঠেছে, তাদের দমন করতে পারবেন না। ১০ ডিসেম্বর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বিএনপির উদ্দেশে বলেছিলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিএনপির এই সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে পাল্টা কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে। ফলে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। হেফাজত হতে চাইলে পরিষ্কার হয়ে যাবেন।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে থেকে এমন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করব না, যাতে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্ট হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এমন আবহ তৈরি করছেন যাতে মনে হচ্ছে যুদ্ধ হবে- এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা, ঢাকার সমাবেশ হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ সমাবেশ। এখান থেকে আমরা পরবর্তীতে আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণে যাব। এটা চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি নয়। অথচ আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে তা নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বিভাগীয় সমাবেশগুলো করছি। সেখানে সহিংসতা পাল্টা প্রতিরোধ করিনি। এখন সরকার ১০ ডিসেম্বর পরিবেশ নস্যাৎ করার জন্য বালখিল্য আচরণ করছে। উদ্দেশ্য একটাই গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নস্যাৎ করা। কারণ আওয়ামী লীগ নিজস্ব চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন আমলা ও গোয়েন্দা নির্ভর হয়ে পড়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটাই সমাধান- পদত্যাগ করুন। যত দ্রুত করতে পারবেন ততই মঙ্গল হবে। অন্যথায় নিরাপদে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।

জঙ্গিবাদকে বাংলাদেশের জন্য একটা ইস্যু তৈরির চেষ্টা চলছে বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যারা চিকিৎসক। অথচ আমরা তো জঙ্গি দেখি না। এটা সরকারের পুরোনো অস্ত্র, তাতে কাজ হবে না।

নির্বাচন নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জাপানি রাষ্ট্রদূত চরম সত্য কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক কমিউনিটির চোখ খুলে গেছে, তারাও দেখতে পাচ্ছেন এখানে কী হচ্ছে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাও‌কি বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি।

এ বক্তব্যের জন্য গতকাল তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অনাগত সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না আলিফ

হেফাজত দমনের মতো পরিস্থিতি এখন নেই, জনগণ জেগে উঠেছে

আপডেট সময় ০৬:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

হেফাজতে ইসলামকে দমন করতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল এখন সেই অবস্থা ও পরিস্থিতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেছেন, জনগণ জেগে উঠেছে, তাদের দমন করতে পারবেন না। ১০ ডিসেম্বর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বিএনপির উদ্দেশে বলেছিলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিএনপির এই সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে পাল্টা কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে। ফলে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। হেফাজত হতে চাইলে পরিষ্কার হয়ে যাবেন।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে থেকে এমন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করব না, যাতে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্ট হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এমন আবহ তৈরি করছেন যাতে মনে হচ্ছে যুদ্ধ হবে- এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা, ঢাকার সমাবেশ হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ সমাবেশ। এখান থেকে আমরা পরবর্তীতে আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণে যাব। এটা চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি নয়। অথচ আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে তা নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বিভাগীয় সমাবেশগুলো করছি। সেখানে সহিংসতা পাল্টা প্রতিরোধ করিনি। এখন সরকার ১০ ডিসেম্বর পরিবেশ নস্যাৎ করার জন্য বালখিল্য আচরণ করছে। উদ্দেশ্য একটাই গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নস্যাৎ করা। কারণ আওয়ামী লীগ নিজস্ব চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন আমলা ও গোয়েন্দা নির্ভর হয়ে পড়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটাই সমাধান- পদত্যাগ করুন। যত দ্রুত করতে পারবেন ততই মঙ্গল হবে। অন্যথায় নিরাপদে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।

জঙ্গিবাদকে বাংলাদেশের জন্য একটা ইস্যু তৈরির চেষ্টা চলছে বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যারা চিকিৎসক। অথচ আমরা তো জঙ্গি দেখি না। এটা সরকারের পুরোনো অস্ত্র, তাতে কাজ হবে না।

নির্বাচন নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জাপানি রাষ্ট্রদূত চরম সত্য কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক কমিউনিটির চোখ খুলে গেছে, তারাও দেখতে পাচ্ছেন এখানে কী হচ্ছে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাও‌কি বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি।

এ বক্তব্যের জন্য গতকাল তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।