ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শপথ নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত আবারো চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল

গ্রামাঞ্চলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ১৯ শতাংশ শিশু

বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে ১৯ শতাংশ শিশু (১১-১৭ বছর বয়সী) বাড়িতে, স্কুলে এবং কর্মক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এছাড়াও অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে প্রায় ৯ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে ‘শিশু স্বাস্থ্য, বিকাশ ও সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা উপস্থাপিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে শিশু অধিকার এবং সুরক্ষা বিষয়ে এ গবেষণা উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসক ডা. মারিয়াম।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের টারশিয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অটিজমে আক্রান্ত ৪৫ জন শিশুর মায়েদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দেখা যায়, ৩ থেকে ৯ বছর শিশুর প্রত্যেকেই শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মাঝে ৮.৯ শতাংশই কোনো না কোনো সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের গ্রামীণ এলাকায় ১ হাজার ৪১৬ জন ১১-১৭ বছর বয়সী শিশুর উপর পরিচালিত আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে বাড়িতে, স্কুলে এবং কর্মক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ শারীরিক নির্যাতন, ১৭ শতাংশ মানসিক নির্যাতন এবং ৭৮ শতাংশ শিশু অবহেলার শিকার হয়েছে।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, কর্মজীবী শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু এবং বস্তি এলাকায় বসবাসকারী শিশুরা অত্যাচারের সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে।

এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে শিশু নির্যাতন একটি উদ্বেগজনক ঘটনা এবং শিশু বিকাশের জন্য একটি বড় বাধা হিসাবে স্বীকৃত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শিশু নির্যাতন বলতে সব ধরনের শারীরিক এবং / অথবা মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, অবহেলা, বাণিজ্যিক বা অন্যান্য নির্যাতনকে বোঝায় যার ফলে দায়িত্ববোধ, বিশ্বাস বা আত্মমর্যাদার প্রেক্ষাপটে শিশুর স্বাস্থ্য, বেঁচে থাকা এবং বিকাশের ক্ষতি হয়। বাংলাদেশে শিশু নির্যাতনের কোনো স্বীকৃত সংজ্ঞা নেই।  যদিও, বাংলাদেশি আইনি ব্যবস্থায় শিশুদের উপর করা প্রায় প্রতিটি নির্যাতনের শ্রেণিবিন্যাস রয়েছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মানদণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

তারা জানান, জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য, ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ গ্রহণ করে এবং ১৯৫টি দেশ সনদটি অনুমোদন করে। সনদ এর ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রতিটি জাতি সকল ধরনের অত্যাচারের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে বাধ্য থাকবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শপথ নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

গ্রামাঞ্চলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ১৯ শতাংশ শিশু

আপডেট সময় ০৮:০৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে ১৯ শতাংশ শিশু (১১-১৭ বছর বয়সী) বাড়িতে, স্কুলে এবং কর্মক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এছাড়াও অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে প্রায় ৯ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে ‘শিশু স্বাস্থ্য, বিকাশ ও সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা উপস্থাপিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে শিশু অধিকার এবং সুরক্ষা বিষয়ে এ গবেষণা উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসক ডা. মারিয়াম।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের টারশিয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অটিজমে আক্রান্ত ৪৫ জন শিশুর মায়েদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দেখা যায়, ৩ থেকে ৯ বছর শিশুর প্রত্যেকেই শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মাঝে ৮.৯ শতাংশই কোনো না কোনো সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের গ্রামীণ এলাকায় ১ হাজার ৪১৬ জন ১১-১৭ বছর বয়সী শিশুর উপর পরিচালিত আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে বাড়িতে, স্কুলে এবং কর্মক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ শারীরিক নির্যাতন, ১৭ শতাংশ মানসিক নির্যাতন এবং ৭৮ শতাংশ শিশু অবহেলার শিকার হয়েছে।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, কর্মজীবী শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু এবং বস্তি এলাকায় বসবাসকারী শিশুরা অত্যাচারের সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে।

এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে শিশু নির্যাতন একটি উদ্বেগজনক ঘটনা এবং শিশু বিকাশের জন্য একটি বড় বাধা হিসাবে স্বীকৃত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শিশু নির্যাতন বলতে সব ধরনের শারীরিক এবং / অথবা মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, অবহেলা, বাণিজ্যিক বা অন্যান্য নির্যাতনকে বোঝায় যার ফলে দায়িত্ববোধ, বিশ্বাস বা আত্মমর্যাদার প্রেক্ষাপটে শিশুর স্বাস্থ্য, বেঁচে থাকা এবং বিকাশের ক্ষতি হয়। বাংলাদেশে শিশু নির্যাতনের কোনো স্বীকৃত সংজ্ঞা নেই।  যদিও, বাংলাদেশি আইনি ব্যবস্থায় শিশুদের উপর করা প্রায় প্রতিটি নির্যাতনের শ্রেণিবিন্যাস রয়েছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মানদণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

তারা জানান, জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য, ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ গ্রহণ করে এবং ১৯৫টি দেশ সনদটি অনুমোদন করে। সনদ এর ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রতিটি জাতি সকল ধরনের অত্যাচারের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে বাধ্য থাকবে।