ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নগরীর তেলিকোনায় শতবর্ষী গোবিন্দ পুকুর ভরাট ও মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের অভিযো সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধেগুম ওখুনের অভিযোগ উঠেছে । গোয়াইনঘাটে এফআইভিডিবির সভা অনুষ্ঠিত রংপুরে ৩৪ জন আইনজীবীকে বিভিন্ন আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান কুসিকের জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সমাজকল্যাণের সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর, পিএসসির সচিব ওএসডি রাজধানীর খিলক্ষেতে দাপুটে সাইফুল ইসলাম গংয়ের রাজউকের নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কচুরিপানার চাপে টগড়া চরখালি ফেরি চলাচল বন্ধ জীবনের ঝুকি নিয়ে যাত্রিরা পার হচ্ছে নদী “ভূমি খ্যাকো” মাহবুব এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাতিরার মানুষ গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও কৃষকলীগের নেতা গ্রেপ্তার

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেল বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ বাবদ ১১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার বৃহস্পতিবার রাতে ছাড় করা হয়েছে। ওই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যোগ হয়েছে। ফলে নিট রিজার্ভ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের কিস্তির অর্থ পাওয়ায় দীর্ঘ সময় পর নিট রিজার্ভ আবার ২ হাজার কোটি ডলারের ঘর অতিক্রম করল।

এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে ছিল। গত মে মাসে এ রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে গিয়েছিল।

সূত্র জানায়, গত সোমবার আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের অনুক‚লে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ছাড় করা হয়েছে ১১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ওই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৬২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনুক‚লে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর আগে দুটি কিস্তিতে ১১৬ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এখন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় করা হলো। তিন কিস্তিতে আইএমএফের ঋণ বাবদ বাংলাদেশ পেল ২৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের মূল্যায়ন করতে আগামী নভেম্বরে আইএমএফ মিশন আবার বাংলাদেশে আসবে। শর্ত বাস্তবায়ন ও সংস্কারের অগ্রগতিতে তারা সন্তুষ্ট হলে ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হতে পারে। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশকে আরও বেশ কিছু কঠিন শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।

আইএমএফের ঋণের অর্থ ছাড় করার আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। এক সপ্তাহ আগে গত ২০ জুন ছিল ১ হাজার ৯৫৩ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৬ কোটি ডলার। তবে আইএমএফের কিস্তি যোগ হওয়ায় রিজার্ভ বেড়ে গেছে।

এদিকে আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ প্রায় ১৩০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। তখন আবার রিজার্ভ কমে যাবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নগরীর তেলিকোনায় শতবর্ষী গোবিন্দ পুকুর ভরাট ও মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের অভিযো

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেল বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১২:৪৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ বাবদ ১১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার বৃহস্পতিবার রাতে ছাড় করা হয়েছে। ওই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যোগ হয়েছে। ফলে নিট রিজার্ভ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের কিস্তির অর্থ পাওয়ায় দীর্ঘ সময় পর নিট রিজার্ভ আবার ২ হাজার কোটি ডলারের ঘর অতিক্রম করল।

এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে ছিল। গত মে মাসে এ রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে গিয়েছিল।

সূত্র জানায়, গত সোমবার আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের অনুক‚লে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ছাড় করা হয়েছে ১১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ওই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৬২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনুক‚লে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর আগে দুটি কিস্তিতে ১১৬ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এখন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় করা হলো। তিন কিস্তিতে আইএমএফের ঋণ বাবদ বাংলাদেশ পেল ২৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের মূল্যায়ন করতে আগামী নভেম্বরে আইএমএফ মিশন আবার বাংলাদেশে আসবে। শর্ত বাস্তবায়ন ও সংস্কারের অগ্রগতিতে তারা সন্তুষ্ট হলে ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হতে পারে। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশকে আরও বেশ কিছু কঠিন শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।

আইএমএফের ঋণের অর্থ ছাড় করার আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। এক সপ্তাহ আগে গত ২০ জুন ছিল ১ হাজার ৯৫৩ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৬ কোটি ডলার। তবে আইএমএফের কিস্তি যোগ হওয়ায় রিজার্ভ বেড়ে গেছে।

এদিকে আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ প্রায় ১৩০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। তখন আবার রিজার্ভ কমে যাবে।