বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টিকে থাকার লড়াইয়ে আজ সুপার এইটের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। এই ম্যাচে জিততে পারে কোন দল; দু’দলের অতীত পরিসংখ্যানই বা কি বলছে। ম্যাচের আগে জেনে নেওয়া যাক সেসব।
ভারত-বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে অতীত পরিসংখ্যান ঘাটতে গেলে অবশ্য হতাশই হতে হবে বাংলাদেশি সমর্থকদের। এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশে জয় কেবল একটি। বাকি ১২ ম্যাচেই জয় ভারতের। আর ভারতের বিপক্ষে যেই জয়টা পেয়েছে বাংলাদেশ, সেটা অবশ্য তাদেরই মাটিতে। ২০১৯ সালে ভারত সফরে গিয়ে দিল্লিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয় পায় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত সেটিই একমাত্র জয় বাংলাদেশের।
অবশ্য গল্পটা ভিন্নও হতে পারত। বেশ কিছু ম্যাচে জয়ের খুব কাছে ছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ বিশ্বকাপে ভারতকে তো প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার বেঙ্গালুরুতে ভারতের ১৪৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে। ওই ম্যাচে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা জেতা ম্যাচ হেরে না বসলে হয়তো পরিসংখ্যানটা ভিন্ন দেখাত এখন। বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর সুখস্মৃতি থাকতে পারতো বাংলাদেশের।
শুধু ওই ম্যাচটিই নয় ভারতের বিপক্ষে এমন বহু ম্যাচে তীরে এসে তরি ডুবিয়েছে বাংলাদেশ। কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফিতে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশে নিশ্চিত জয় সেবার কেড়ে নিয়েছিলেন ভারতের দীনের কার্তিক। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপেও ভারতকে হারানোর উপলক্ষ পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। এরপরও বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের সুযোগ ছিল। তবে নিজেদের ভুলে শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে।
অর্থাৎ ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়ে বহুবার হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এখানে আরও একটা ব্যাপার পরিষ্কার। ভারতের বিপক্ষে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জানে বাংলাদেশ। সেই কাজটিই আরও একবার করে দেখানোর পালা নাজমুল শান্তর দলের। তবে এবার হাসিটা যেন বাংলাদেশেরই হয় সেই প্রত্যাশাই থাকবে সমর্থকদের। কেননা, সেটি না হলে যে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।