ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

সরকারের ক্ষমতার সিকিউরিটি গার্ড বেনজীর-আজিজ: রিজভী

ক্ষমতাসীনদের ‘অবৈধ’ সরকার গঠনে বেনজীর-আজিজরা সিকিউরিটি গার্ড (প্রহরী) হিসাবে নিয়েজিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনার আজকে যে দখলদারিত্বের ক্ষমতা, এই ক্ষমতার সিকিউরিটি গার্ড বেনজীর (সাবেক পুলিশপ্রধান) ও আজিজ সাহেবরা (সাবেক সেনাপ্রধান)। আমরা জানতাম আগে কমপক্ষে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের একটা নৈতিকতার জায়গা থাকে। কারণ তাদের একটি আলাদা প্রশিক্ষণ হয়, সবকিছু হয়। কিন্তু এই আজিজ সেনাবাহিনীর প্রধান হন কী করে? এটাই তো বিস্ময়কর ব্যাপার।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদসহ দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিষয়ে ঐতিহাসিক মন্তব্যগুলো কী ছিল বেনজীর আহমেদের? কত ধমক ও হুমকি। তিনি তখন বলেছিলেন অস্ত্র দেওয়া হয়েছে আপনাদেরকে (পুলিশ) কি হাডুডু খেলার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর যদি ন্যূনতম মানবতাবোধ থাকত, দেশে যদি আইনের শাসন থাকত, সেই দিনই বেনজীরকে গ্রেফতার করত। উনি প্রকাশ্যে এই দেশের নাগরিক ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আপনি (শেখ হাসিনা) তখন তাকে গ্রেফতার করেননি। কারণ তারা ছিল আপনার অবৈধ ক্ষমতার রক্ষক। আর এই রক্ষক হতে গিয়ে তারা যে কত ভক্ষণ করেছেন, সেটা এখন দেখা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে সমস্ত বিমান বন্ধ করে দিয়ে তিনি দেখা করতে গেলেন তার গুরুর (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) কাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন তার গুরুর সঙ্গে দেখা করলেই হয়ে যাবে। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সবকিছু বিসর্জন দিয়ে দুর্বল করে তিনি তাদের কাছে মাথা নিচু করেছেন।

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

সরকারের ক্ষমতার সিকিউরিটি গার্ড বেনজীর-আজিজ: রিজভী

আপডেট সময় ১০:১১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

ক্ষমতাসীনদের ‘অবৈধ’ সরকার গঠনে বেনজীর-আজিজরা সিকিউরিটি গার্ড (প্রহরী) হিসাবে নিয়েজিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনার আজকে যে দখলদারিত্বের ক্ষমতা, এই ক্ষমতার সিকিউরিটি গার্ড বেনজীর (সাবেক পুলিশপ্রধান) ও আজিজ সাহেবরা (সাবেক সেনাপ্রধান)। আমরা জানতাম আগে কমপক্ষে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের একটা নৈতিকতার জায়গা থাকে। কারণ তাদের একটি আলাদা প্রশিক্ষণ হয়, সবকিছু হয়। কিন্তু এই আজিজ সেনাবাহিনীর প্রধান হন কী করে? এটাই তো বিস্ময়কর ব্যাপার।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদসহ দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিষয়ে ঐতিহাসিক মন্তব্যগুলো কী ছিল বেনজীর আহমেদের? কত ধমক ও হুমকি। তিনি তখন বলেছিলেন অস্ত্র দেওয়া হয়েছে আপনাদেরকে (পুলিশ) কি হাডুডু খেলার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর যদি ন্যূনতম মানবতাবোধ থাকত, দেশে যদি আইনের শাসন থাকত, সেই দিনই বেনজীরকে গ্রেফতার করত। উনি প্রকাশ্যে এই দেশের নাগরিক ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আপনি (শেখ হাসিনা) তখন তাকে গ্রেফতার করেননি। কারণ তারা ছিল আপনার অবৈধ ক্ষমতার রক্ষক। আর এই রক্ষক হতে গিয়ে তারা যে কত ভক্ষণ করেছেন, সেটা এখন দেখা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে সমস্ত বিমান বন্ধ করে দিয়ে তিনি দেখা করতে গেলেন তার গুরুর (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) কাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন তার গুরুর সঙ্গে দেখা করলেই হয়ে যাবে। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সবকিছু বিসর্জন দিয়ে দুর্বল করে তিনি তাদের কাছে মাথা নিচু করেছেন।

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।