রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে আবদুল্লাহ (২৩) নামে যুবকের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ফাঁসিতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার বিকাল চারটায় উপজেলার ৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের বুজরুক মহদীপুর গ্রামের নুরুন্নবী মিয়ার বাড়ির নিজ শয়নকক্ষে থেকে মরাদেহ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়-এক বছর পূর্বে নুরুন্নবী মিয়ার মেয়ে নুপুর(১৭)এর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই সুখে শান্তিতে শশুর বাড়িতেই বসবাস করছিলেন আবদুল্লাহ ।
স্থানীয় মিয়ারহাট বাজারের মুমিনের চায়ের দোকানে কাজ করতেন। গতকাল শুক্রবার বিকালে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ঢোলার বাজার সংলগ্ন আদিবাসী পাড়ায় মামাতো বোনের বিয়ে খেতে স্বামী স্ত্রী সহ পরিবারের সকলে যায় সেখানে স্বামীর সাথে স্ত্রীর একটু মনোমালিন্য হলে রাতেই শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে শনিবার দিনব্যাপী কাজ শেষে শাশুড়ী বাড়িতে ফিরেই বাড়ির গেটের দরজা বন্ধ দেখেই অনেক ডাকাডাকির পর সারা শব্দ না পেয়ে স্থানীয় লোকের সহযোগিতায় ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেই জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার করেন।
পরে এলাকাবাসী থানায় অবগত করেন। কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টার জানান- আব্দুল্লাহ উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করেছিল। হঠাৎ কি কারণে ফাঁসি লাগিয়েছে তা কেউ জানতে পারেনি।
মিঠাপুকুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এরশাদ জানান-আব্দুল্যাহ আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। কারণ তার শরীরে কোন রকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং পরিবারের পক্ষে কেউ এখনও অভিযোগ করেননি। তবুও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য মরদেহের ময়না তদন্ত করা হবে।এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।