ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

কীসের আফসোস রচনার

টালিউড অভিনেত্রী রচনার মুখে এখন জয়ের চওড়া হাসি। হুগলিতে ‘দিদি নম্বর ১’-এর হাত ধরে ফের ঘাসফুল ফুটল। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট নেত্রীকে হটিয়ে জয় পেয়েছেন রচনা। সংসদে গেলেও দিদি নম্বর ১ ছাড়বেন না তিনি কথা দিয়েছিলেন। সেই কথা রাখবেন রচনা, বিশ্বাস সবার।

সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এর এপিসোডে রচনার মুখোমুখি হন সৃজিতের ‘অতি উত্তম’ নায়িকা রোশনি ভট্টাচার্য। গত দেড় মাসে নির্বাচনি প্রচারে বেজায় ক্লান্ত দিদি, তবুও দিদি নম্বর ১-এর সেটে আগের মতোই চনমনে দিদি। সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব যেমন হাসিমুখে গত কয়েকদিনে দিয়েছেন, এদিন রচনার সামনে প্রশ্নবাণ খাড়া করলেন রোশনি। মা, মেয়ে এবং অভিনেত্রী হিসেবে ১০-এর মধ্যে নিজেকে কত নম্বর দেবেন রচনা?

মা হিসেবে ১০-এর মধ্যে নিজেকে মাত্র ৫ নম্বর দিলেন রচনা। এতটা কম নম্বর দেওয়ার যুক্তি হিসেবে রচনা বলেন, ‘আমি ছেলেকে সময় দিতে পারি না। মা-বাবা’কে তার সন্তানকে ভালো করতে হলে সময় দিতে হয়। কোনো একটা জায়গায় গিয়ে একটা জায়গায় গিয়ে স্যাক্রিফাইস করতেই হবে। তার মধ্যেই আমি যতটুকু পারি করার চেষ্টা করি, তাই জন্য নিজেকে ৫ দিয়েছি। সেটা যারা পারে না, তারা শূন্য পাবে’।

মা তো মা! মা তো জন্ম দেয়, মা-র জায়গা আলাদা। তবে আমি আমার বাবার খুব কাছের, আমার ১-৯০ হল বাবা, ৯০ থেকে বাকি ১০ মা। যতটুকু জীবনে করতে পেরেছি বাবার জন্য। আমার বাবার প্রতি কন্ট্রিবিউশনের থেকে বাবার আমার প্রতি কন্ট্রিবিউশন অনেক বেশি।

‘অভিনেত্রী হিসাবে ওই ৬-৭! আমার নিজের সাধ্যমতো যতটুকু পেরেছি করেছি। আমি সৌভাগ্যবান যে এতগুলো ভাষায় কাজ করেছি। সেখানে আমার স্কিল নয়, আমার সৌভাগ্য। ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকাটা ভাগ্যের ব্যাপার। পরিশ্রম করো, তারপর তোমার ভাগ্যে যতটুকু আছে পাবে। এই দিদি নম্বর ১ এখন ১৩ বছর হয়ে গেল…’।

রচনা ও তার স্বামী প্রবাল বসুর একমাত্র ছেলে প্রনীল বসু। আগামী বছরেই ক্লাস টুইয়েলভের পরীক্ষা দেবে রচনা-পুত্র। পড়াশোনা নিয়েই এখন ব্যস্ত সে। দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকেন না রচনা। তবে ছেলের কথা ভেবেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি তারা।

নির্বাচনি প্রচারে রচনার সঙ্গী হয়েছিলেন প্রবাল। জয়ের পরেও স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভীষণ ভালো লাগছে। এ অনুভূতি ভাষায় বোঝানো যাবে না। আসলে রচনা এমনই। ও যা ছোঁয় সেটাই সোনা হয়ে যায়। যেখানে হাত দিয়েছে সেখানেই সাফল্য পেয়েছে।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

কীসের আফসোস রচনার

আপডেট সময় ১১:০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

টালিউড অভিনেত্রী রচনার মুখে এখন জয়ের চওড়া হাসি। হুগলিতে ‘দিদি নম্বর ১’-এর হাত ধরে ফের ঘাসফুল ফুটল। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট নেত্রীকে হটিয়ে জয় পেয়েছেন রচনা। সংসদে গেলেও দিদি নম্বর ১ ছাড়বেন না তিনি কথা দিয়েছিলেন। সেই কথা রাখবেন রচনা, বিশ্বাস সবার।

সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এর এপিসোডে রচনার মুখোমুখি হন সৃজিতের ‘অতি উত্তম’ নায়িকা রোশনি ভট্টাচার্য। গত দেড় মাসে নির্বাচনি প্রচারে বেজায় ক্লান্ত দিদি, তবুও দিদি নম্বর ১-এর সেটে আগের মতোই চনমনে দিদি। সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব যেমন হাসিমুখে গত কয়েকদিনে দিয়েছেন, এদিন রচনার সামনে প্রশ্নবাণ খাড়া করলেন রোশনি। মা, মেয়ে এবং অভিনেত্রী হিসেবে ১০-এর মধ্যে নিজেকে কত নম্বর দেবেন রচনা?

মা হিসেবে ১০-এর মধ্যে নিজেকে মাত্র ৫ নম্বর দিলেন রচনা। এতটা কম নম্বর দেওয়ার যুক্তি হিসেবে রচনা বলেন, ‘আমি ছেলেকে সময় দিতে পারি না। মা-বাবা’কে তার সন্তানকে ভালো করতে হলে সময় দিতে হয়। কোনো একটা জায়গায় গিয়ে একটা জায়গায় গিয়ে স্যাক্রিফাইস করতেই হবে। তার মধ্যেই আমি যতটুকু পারি করার চেষ্টা করি, তাই জন্য নিজেকে ৫ দিয়েছি। সেটা যারা পারে না, তারা শূন্য পাবে’।

মা তো মা! মা তো জন্ম দেয়, মা-র জায়গা আলাদা। তবে আমি আমার বাবার খুব কাছের, আমার ১-৯০ হল বাবা, ৯০ থেকে বাকি ১০ মা। যতটুকু জীবনে করতে পেরেছি বাবার জন্য। আমার বাবার প্রতি কন্ট্রিবিউশনের থেকে বাবার আমার প্রতি কন্ট্রিবিউশন অনেক বেশি।

‘অভিনেত্রী হিসাবে ওই ৬-৭! আমার নিজের সাধ্যমতো যতটুকু পেরেছি করেছি। আমি সৌভাগ্যবান যে এতগুলো ভাষায় কাজ করেছি। সেখানে আমার স্কিল নয়, আমার সৌভাগ্য। ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকাটা ভাগ্যের ব্যাপার। পরিশ্রম করো, তারপর তোমার ভাগ্যে যতটুকু আছে পাবে। এই দিদি নম্বর ১ এখন ১৩ বছর হয়ে গেল…’।

রচনা ও তার স্বামী প্রবাল বসুর একমাত্র ছেলে প্রনীল বসু। আগামী বছরেই ক্লাস টুইয়েলভের পরীক্ষা দেবে রচনা-পুত্র। পড়াশোনা নিয়েই এখন ব্যস্ত সে। দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকেন না রচনা। তবে ছেলের কথা ভেবেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি তারা।

নির্বাচনি প্রচারে রচনার সঙ্গী হয়েছিলেন প্রবাল। জয়ের পরেও স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভীষণ ভালো লাগছে। এ অনুভূতি ভাষায় বোঝানো যাবে না। আসলে রচনা এমনই। ও যা ছোঁয় সেটাই সোনা হয়ে যায়। যেখানে হাত দিয়েছে সেখানেই সাফল্য পেয়েছে।’