যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সাকিব আল হাসানেরও এটি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সবগুলো আসরেই খেলেছেন তিনি। তার সঙ্গে এই কীর্তি আছে শুধু ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার।
নিজের নবম বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃক আয়োজিত ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’তে কথা বলেছিলেন সাকিবও। যেখানে আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছার কথা জানান এই অলরাউন্ডার।
সাকিব ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো, সবগুলোতেই অংশ নিতে পেরেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। একই সময়ে যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। আমি এবং রোহিত শর্মাই হয়তো মাত্র দুজন খেলোয়াড়, যারা সবগুলো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। আশা করব আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটা যেন ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোনো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।’
ওই ভিডিওতে একটি প্রশ্ন ছিল সাকিবের প্রতি। অনেকেই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সাকিবের সেকেন্ড হোম (দ্বিতীয় ঘর)। ঘরের সুবিধা কি পাবে দল? সাকিব হাসতে হাসতে এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার সেকেন্ড হোম ঠিক আছে। তবে হোম অ্যাডভান্টেজ পাব কিনা বলাটা মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র, এ দুটো জায়গাতেই আমরা, এর আগে ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আমি আশা করছি দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।’
আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্থানের সমসাময়িক সাকিবের ক্যারিয়ার। তিনটি সংস্করণের মধ্যে টি-টোয়েন্টিই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই পরিবর্তন কীভাবে দেখেন সাকিব-এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা ওয়ানডেরই বর্ধিত সংস্করণ। ওভার কাটলে যেটা হতো সেটাই। অনেক রোমাঞ্চকর। দর্শকেরা অনেক পছন্দ করেন। আমি একটি জিনিসই শুধু মনে করি যে ব্যাট ও বলের যেন সমান প্রতিযোগিতা এখানে থাকে। যেকোনো একতরফা যেন টুর্নামেন্টটা না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনোই সেটা হয় না। আমি মনে করি এবারও একইরকম হবে।’