শুক্রবারের বিকালে রায়বেরিলির ধূলিধূসর জনপদে তখন মে মাসের চাঁদিফাটা রোদ। বেলা বারোটা থেকেই স্থানীয় আইটিআই গ্রাউন্ড উপচে পড়ছিল ভিড়ে, আর সেই সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা যখন বলতে উঠলেন তখন প্রায় হাজার তিরিশেক মানুষে ঠাসা মাঠ যেন গর্জে উঠল!
মাত্র সাড়ে তিন মিনিটের ছোট্ট ভাষণ, গুনে গুনে ২১০ সেকেন্ড। এই পরিমিতির কারণ, সভায় ছিলেন ভাই রাহুল গান্ধী, মা সোনিয়া গান্ধী আর কংগ্রেসের জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও।
প্রিয়াঙ্কা কারও সময়ে ভাগ বসাতে চাননি, কিন্তু সব চেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অভিনন্দন পেলেন তিনিই। বললেন সেই রায়বেরিলি-আমেঠির মাটির সঙ্গে তাদের পরিবারের আত্মীয়তার বন্ধনের কথা, মঙ্গলসুত্র ছিনিয়ে নেওয়ার নাম করে কংগ্রেসের নামে যে অপপ্রচার চলছে তার বিরুদ্ধেও কিছু কথা।
সভায় কিন্তু কংগ্রেসের চেয়েও অনেক বেশি সমর্থক ছিল লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির, তারাও তুমুল উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন। এমন কী তাদের নেতা অখিলেশের চেয়েও বেশি হাততালি পেলেন প্রিয়াঙ্কা, সেটা বললেও ভুল হবে না।
আসলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা যে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় তারকা প্রচারক, তা বলার কোনো অপেক্ষাই রাখে না। প্রিয়াঙ্কা যাতে একটা অন্তত সভা করে যান, কিংবা রোড শো-তে একটিবার অন্তত মুখ দেখিয়ে যান – সেটার জন্যই গোটা ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি আবদার আসে কংগ্রেসের সদর দফতরে।
বিগত ২৫ বছর ধরে মা সোনিয়া বা ভাই রাহুলের হয়ে ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচারে নামলেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন সবেমাত্র বছর পাঁচেক। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কংগ্রেস তাকে সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে দলের কাজকর্ম দেখাশুনোর দায়িত্ব দেয়, সেই তার সক্রিয় রাজনীতির শুরু।
কিন্তু ২০১৯র ভোটে তো নয়ই, এবারেও কিন্তু প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভোটে লড়ছেন না!
মাসকয়েক আগে সোনিয়া গান্ধী রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ায় তার পুরনো যে রায়বেরিলি লোকসভা আসনটি খালি হয়েছিল, সেখানে অথবা ওটা না-হলে লাগোয়া আসন আমেঠিতে অন্তত প্রিয়াঙ্কা নিজে ভোটে লড়বেন – দেশের লাখ লাখ কংগ্রেস সমর্থক সেটাই আশা করেছিলেন।
ওই দুটো আসনকেই কংগ্রেস, বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে গান্ধী পরিবারের গড় বলা যায়। সেই ষাটের দশক থেকে ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ফিরোজ গান্ধী রায়বেরিলির এমপি ছিলেন, পরেও ইন্দিরা, সোনিয়া ও রাহুল (এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠরা) বারবার এখান থেকে জিতেছেন। সেই পরম্পরা ভাঙে ২০১৯ সালে, যখন বিজেপির নেত্রী স্মৃতি ইরানি আমেঠি আসনটি রাহুল গান্ধীর হাত থেকে ছিনিয়ে নেন।
মায়ের আসন রক্ষা করতে, না-হয় স্মৃতি ইরানিকে মুখের মতো জবাব দিতে ‘প্রিয়াঙ্কা দিদি’ নিজে এবার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন – এই আর্জি জানিয়ে হাজার হাজার চিঠি, ইমেইল বা অনুরোধও গিয়েছিল এআইসিসির কাছে।
কিন্তু সব জল্পনায় জল ঢেলে কংগ্রেস একেবারে শেষ মুহুর্তে জানায়, না রায়বেরিলি থেকে রাহুল নিজেই (তার দ্বিতীয় আসন হিসেবে) লড়বেন। এবং আমেঠিতেও প্রিয়াঙ্কা নন, কংগ্রেস মনোনয়ন দেয় গান্ধী পরিবারের দীর্ঘদিনের নির্বাচনী এজেন্ট ও বিশ্বস্ত কর্মী কে এল শর্মাকে।
প্রিয়াঙ্কা যদিও জানিয়েছেন, কে এল শর্মাকে জেতাতে তিনি রাতদিন এক করে দেবেন এবং দিচ্ছেনও – তারপরও এই প্রশ্নটা কিছুতেই চাপা পড়ছে না যে তিনি নিজে কেন লড়ছেন না?
কংগ্রেসের নবীন ও প্রবীণ নেতারা অনেকেই প্রিয়াঙ্কাকে দলের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ বলে বর্ণনা করে এসেছেন বহুকাল ধরে। ইন্দিরা গান্ধীর মুখচ্ছবি আর ভাবভঙ্গীর সঙ্গে তার দারুণ সাদৃশ্য আছে বলে অনেকেই মনে করেন, সেটাও তার জনপ্রিয়তার আর একটা বড় কারণ।
এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’টিকে সরাসরি যুদ্ধে নামিয়ে কেন কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে শক্ত একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল না, এটা ভারতে এবারের নির্বাচনে একটা খুব বড় হেঁয়ালি!
সেই রহস্যের জবাব খুঁজতেই হানা দিয়েছিলাম দিল্লিতে চব্বিশ নম্বর আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতর আর উত্তরপ্রদেশে গান্ধী পরিবারের ‘খাসতালুক’ বলে পরিচিত রায়বেরিলি-আমেঠিতে।
১৯৮৪ সালে দাদি ইন্দিরা ও তার সাত বছর পর পিতা রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর টেলিভিশনে তাদের শেষকৃত্যের লাইভ সম্প্রচারের সময় গোটা ভারত একটি কিশোরীকে চিতার পাশে বিষণ্ণ ভঙ্গীতে বসে থাকতে দেখেছিল। মেয়েটি কখনও বা মায়ের হাত শক্ত করে ধরে সান্ত্বনাও দিচ্ছিল।
পিতৃহীনা ওই মেয়েটির সঙ্গে আপামর ভারতবর্ষের অগাধ স্নেহ ও ভালবাসা সেই তখন থেকেই।
নব্বইয়ের দশকে ভারতের তথাকথিত ‘ফার্স্ট ফ্যামিলি’র সেই মেয়েটি যখন অতি সাধারণ ঘরের এক যুবক রবার্ট ভাদরাকে পছন্দ করে বিয়ে করলেন, সেটাও কিন্তু আমজনতার মধ্যে তার জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়েছিল।
অনেক পরে রবার্ট ভাদরার বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকই, কিন্তু কংগ্রেস নেতারা বিশ্বাস করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভাবমূর্তিতে তা এক ফোঁটাও কালি ছেটাতে পারেনি।
ইতিমধ্যে ক্রমান্বয়ে তার মা সোনিয়া গান্ধী ও বড় ভাই রাহুল গান্ধীও রাজনীতিতে এসেছেন – কিন্তু পরিবারের সদস্যদের হয়ে প্রচার করলেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কিন্তু কংগ্রেস রাজনীতির বৃহত্তর পরিসরে বহু দিনই দেখা যায়নি।
২০০৮ সালে ভেলোরের জেলে গিয়ে তিনি পিতা রাজীব গান্ধীর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত নলিনী শ্রীহরণের সঙ্গে আবেগঘন এক গোপন বৈঠকও করেন। দেশ সে কথা জানতে পেরেছিল অনেক পরে, নলিনীর মুক্তিতে প্রিয়াঙ্কা কোনও আপত্তি জানাননি এই তথ্য সামনে আসার পর।
১৯৯৯ সালে তিনি যখন আমেঠিতে মায়ের হয়ে প্রচার করছেন, গ্রীষ্মের এক সকালে গৌরীগঞ্জ হাসপাতালের গেস্ট হাউসের লনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলার সুযোগ হয়েছিল।
সেই সিকি শতাব্দী আগে তিনি কথায় কথায় বলেছিলেন, ‘আমাদের গোটা পরিবারই আসলে দেশের জন্য বলিপ্রদত্ত। ফলে ব্যক্তিগতভাবে আমি কী চাই সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, রাজনীতিতে আজ না-হোক কাল আমাকেও হয়তো আসতেই হবে!’
এরপরও কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে তার আরও কুড়ি বছর লেগে গেছে।
মাঝে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও রায়বেরিলি-আমেঠির মাটি কামড়ে তাকে প্রচার করতে দেখেছি।
শুধু বড় জনসভা নয়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট পথসভাতেও গেছেন – অম্লানবদনে গরিবের কুঁড়েঘরে ঢুকে গ্রামের মানুষের ভালোমন্দের খোঁজখবর নিয়েছেন। তখনও গাড়িতে চেপে হাত নাড়তে নাড়তে রোড শো-র অত চল হয়নি, কিন্তু প্রিয়াঙ্কাকে সে সময় হেঁটে লম্বা লম্বা পদযাত্রা করতেও দেখেছি।
কিন্তু প্রতিবার ভোট মিটে যেতেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও রাজনীতি থেকে উধাও হয়ে যেতেন।
অন্তত এমনটাই চলেছে বছর পাঁচেক আগে পর্যন্ত। অবশেষে রাজনীতিতে এসেছেন, কিন্তু ভোটের লড়াইতে এখনও নয়!
অথচ প্রিয়াঙ্কা হিন্দিতেও দারুণ চোস্ত, তার চেহারা ও কথাবার্তার মধ্যে পুরনো দিনের মানুষরা ইন্দিরা গান্ধীকে খুঁজে পান, তার ভাষণ দেওয়ার ভঙ্গী প্রায় অননুকরণীয় – এগুলোই তাকে একটা অন্য রকম জনপ্রিয়তা দিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
কংগ্রেসের নেতাদের একটা অংশ মনে করেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজনীতি থেকে দীর্ঘদিন একটা দূরত্ব রেখেছেন বলেই এখনও তার ‘আবেদন’ অক্ষুণ্ণ আছে। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ও যেখানে-সেখানে ব্যবহার করলে তার ধার কমে যায় – ফলে প্রিয়াঙ্কাকে ‘তুলে তুলে’ ব্যবহার করে কংগ্রেস আসলে ভুল করেনি বলেই তাদের যুক্তি।
তবে রায়বেরিলির মাঠে প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে আসা সমাজবাদী পাটির মাঝারি মাপের নেতা ব্রিজশরণ যাদব আবার পরামর্শ দিলেন, তুরুপকা ইক্কা ভি সহি টাইমিং মে ইস্তেমাল করনা চাহিয়ে! খেল খতম হোনে কা বাদ কেয়া ফায়দা!
সোজা কথায়– প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যদি তুরুপের তাসই হন, তাহলে তাকে তো সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে হবে? খেলা মিটে যাওয়ার পর সেই তাস ফেলে কী লাভ?
অন্যভাবে বললে, কংগ্রেস কেন তাকে এবারেও প্রার্থী করল না, ব্রিজশরণ তার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না!
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা কেন এবারে ভোটে লড়ছেন না, তার অন্তত তিন-চারটে কারণ ‘কংগ্রেস সার্কিটে’ বা সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেই যে কেউ শুনতে পাবেন। বিজেপির নেতা-কর্মীরা অবশ্য তার সঙ্গে যোগ করবেন আরও দুতিনটে!
যে ব্যাখ্যাটা সব চেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে, তা হল একটা লোকসভা কেন্দ্রে আটকে পড়লে বাকি দেশে ঘুরে ঘুরে যে অমানুষিক পরিশ্রম করে প্রিয়াঙ্কা এই নির্বাচনে প্রচারটা করছেন, সেটা কে করত? আমেঠি বা রায়বেরিলিতে আটকে পড়লে সুদূর মোরেনা, যোধপুর বা লুধিয়ানায় তিনি কীভাবে যেতেন?
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজেও দু-একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে মোটামুটি একই ধরনের যুক্তি দিয়েছেন। এবং বলেছেন, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই নাকি তিনি মেনে নিয়েছেন।
প্রায় তিন যুগ ধরে কংগ্রেস কভার করা দিল্লির প্রবীণ সাংবাদিক জাভেদ আনসারির কথায়, এবারে কংগ্রেসের সব চেয়ে বড় ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ অবশ্যই প্রিয়াঙ্কা। হিন্দিতে তার মতো ভাষণ দেওয়ার দক্ষতা, মানুষের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারার ক্ষমতা এমন কী রাহুল গান্ধীরও নেই। সেই জায়গায় তাকে একটা কেন্দ্রে প্রচারে আটকে ফেললে বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দেওয়াই হত!
গান্ধী পরিবারকে নিয়ে বহুকাল ধরে লেখালেখি করছেন বর্ষীয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষক রশিদ কিদোয়াই, তিনি আবার এর পেছনে অন্য একটা কারণ দেখাচ্ছেন।
রায়বেরিলিতে শুক্রবারের জনসভা থেকে সোনিয়া গান্ধী যে সংক্ষিপ্ত ও আবেগী ভাষণ দিলেন, তার মূল কথাটা ছিল – এখানকার মাটির সঙ্গে আমাদের বহু বহু বছরের নাড়ির টান! আজ আমি নির্বাচনে লড়তে পারছি না, কিন্তু আমার ছেলেকে আপনাদের হাতে সঁপে দিয়ে যাচ্ছি!
সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ তুমুল হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়লেন – কিন্তু পাশাপাশি মৃদু গুঞ্জনও উঠল, ‘প্রিয়াঙ্কা বহেন কো ভি লাইয়ে’!
মানে রাহুলকে জেতানোর দায়িত্ব তো আমরা অবশ্যই নেব, কিন্তু বোন প্রিয়াঙ্কাকেও আমাদের মাঝে চাই – এটাই ছিল সোনিয়া গান্ধীর কাছে জনতার আবদার!
গান্ধী পরিবারের সঙ্গে প্রায় ৬৫ বছরের সুদীর্ঘ আত্মীয়তার সুবাদে রায়বেরিলি-আমেঠির মানুষ হয়তো মনে করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও তাদের এমপি হিসেবে পাবার অধিকার আছে – আর সে কারণেই এটা কোনও অন্যায় দাবি নয়।
কিন্তু প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কেন এখনও কোনও কেন্দ্রে লড়তে বলা হচ্ছে না, এটা আসলেই একটা দুর্বোধ্য ধাঁধা।
ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক ও জনপ্রিয় ইউটিউবার অজিত আনজুম গত বেশ কিছুদিন ধরে রায়বেরিলি-আমিঠি চষে বেড়াচ্ছেন, আইটিআই গ্রাউন্ডের জনসভা থেকে বেরোনোর সময় ভিড়ের মাঝেই তাকেও ঠিক এই প্রশ্নটাই করলাম।
অজিত আনজুম হেসে বললেন, সত্যি কথা বলতে আসল উত্তরটা আমারও জানা নেই! যদিও কেউ কেউ এমনও বলছেন, আমেঠিতে নিজে না লড়ে পারিবারিক গোমস্তাকে জিতিয়ে এনে প্রিয়াঙ্কা আসলে স্মৃতি ইরানিকে চরম আপমান করতে চাইছেন। তবে যদি রাজনীতির একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে আমাকে আন্দাজ করতে বলেন, তাহলে বলব হয়তো কোথাও প্রিয়াঙ্কার একটা ভয় কাজ করছে। কিংবা কোনও কারণে কোনও দ্বিধা বা সংকোচ! যদিও এটা আমার অনুমান মাত্র, তার বেশি কিছু নয়।