ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা

দোকান থেকে কিনে এনেছেন একটি পুরনো স্যুটকেস। কিন্তু বসায় ফিরে দেখলেন স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বিদেশি মুদ্রা

এ ঘটনা মার্কিন এক পিতার। ওই ব্যক্তি ব্যবহৃত স্যুটকেস কেনার পর বিদেশি নগদ মুদ্রা পেয়ে সেই কথাই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। শুনে অবাক হবেন অন্য কোনো দেশের নয়, বাংলাদেশি টাকা পেয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে অবস্থিত ‘ওভার স্টক এবং রিটার্ন স্টোর’ নামের দোকান থেকে তিনি কয়েকটি স্যুটকেস কিনেছিলেন।   এ ধরনের দোকান পুরনো জিনিস কেনাবেচা করে। দালালের মাধ্যমে পুরনো জিনিস কিনে আবার কম দামে বিক্রি করে তারা।

তিনি স্যুটকেসগুলো কিনে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে সবচেয়ে ছোট কমলা রঙের ব্যাগের আস্তরণের নিচে কিছু অনুভব করেন। আস্তরণ খুলে দেখেন বাংলাদেশি মুদ্রা। তিনি না জেনেই ধরে নেন এই টাকার পরিমাণ ২০,০০০ ডলার!

kalerkantho
ওই ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি তখন আস্তরণটি খুললাম এবং একটি জিপলক ব্যাগে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০,০০০ ডলার পেলাম। ’ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ  ‘ডেডিকেটেড টু আনইউজুয়াল ফাইন্ডস’-এ কথা লিখেছেন। তিনি ছবিও পোস্ট  করেছেন।  প্রথমে খুশি হলেও পরে হাতাশ হন তিনি। কারণ আসলে পেয়েছেন ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা।

টাকাটি যিনি পেয়েছেন তিনি একটি সেলুনের মালিক। স্থানীয় সময় শনিবার তিনি লিখেছেন, ‘বিনিময় হার কী হতে পারে তা না জেনে আমার খুব উত্তেজনা হয়েছিল। ’
কিন্তু বিনিময় হার জানতে পেরে বুঝতে পারেন, না তার চাকরি ছাড়লে চলবে না বা সেলুনটাও বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ দেখতে প্রচুর টাকা মনে হলেও আসলে এখানে ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা আছে।

এরপর তিনি মজা করে লিখেছেন, ‘কিন্তু যে অভিজ্ঞতা হলো সেটা মিলিয়ন ডলার মূল্যের। ’ লাখ টাকা না পেলেও নতুন স্যুটকেসগুলো নিজেদের মূল্য নিজেরা পরিশোধ করেছে। এটাই তার সান্ত্বনা।

ভাগ্যবান এই ক্রেতা ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘটনাটি নিশ্চিত করার সময় মন্তব্য করেছেন, এই রকম ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে তা ভেবে তিনি অবাক হয়েছিলেন প্রথমে। এরপর তিনি ধারণা করেন, কেউ হয়তো স্যুটকেসটি কিনে ব্যবহার করেছিলেন। কিছু টাকা ভেতরে রেখে ভুলে গিয়েছিলেন। এরপর ওই অবস্থায়ই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

এ ঘটনা শুনে অনেকে বলেছেন, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ব্যাগে কী কী জিনিস রাখছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা

আপডেট সময় ০৬:২৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

দোকান থেকে কিনে এনেছেন একটি পুরনো স্যুটকেস। কিন্তু বসায় ফিরে দেখলেন স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বিদেশি মুদ্রা

এ ঘটনা মার্কিন এক পিতার। ওই ব্যক্তি ব্যবহৃত স্যুটকেস কেনার পর বিদেশি নগদ মুদ্রা পেয়ে সেই কথাই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। শুনে অবাক হবেন অন্য কোনো দেশের নয়, বাংলাদেশি টাকা পেয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে অবস্থিত ‘ওভার স্টক এবং রিটার্ন স্টোর’ নামের দোকান থেকে তিনি কয়েকটি স্যুটকেস কিনেছিলেন।   এ ধরনের দোকান পুরনো জিনিস কেনাবেচা করে। দালালের মাধ্যমে পুরনো জিনিস কিনে আবার কম দামে বিক্রি করে তারা।

তিনি স্যুটকেসগুলো কিনে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে সবচেয়ে ছোট কমলা রঙের ব্যাগের আস্তরণের নিচে কিছু অনুভব করেন। আস্তরণ খুলে দেখেন বাংলাদেশি মুদ্রা। তিনি না জেনেই ধরে নেন এই টাকার পরিমাণ ২০,০০০ ডলার!

kalerkantho
ওই ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি তখন আস্তরণটি খুললাম এবং একটি জিপলক ব্যাগে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০,০০০ ডলার পেলাম। ’ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ  ‘ডেডিকেটেড টু আনইউজুয়াল ফাইন্ডস’-এ কথা লিখেছেন। তিনি ছবিও পোস্ট  করেছেন।  প্রথমে খুশি হলেও পরে হাতাশ হন তিনি। কারণ আসলে পেয়েছেন ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা।

টাকাটি যিনি পেয়েছেন তিনি একটি সেলুনের মালিক। স্থানীয় সময় শনিবার তিনি লিখেছেন, ‘বিনিময় হার কী হতে পারে তা না জেনে আমার খুব উত্তেজনা হয়েছিল। ’
কিন্তু বিনিময় হার জানতে পেরে বুঝতে পারেন, না তার চাকরি ছাড়লে চলবে না বা সেলুনটাও বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ দেখতে প্রচুর টাকা মনে হলেও আসলে এখানে ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা আছে।

এরপর তিনি মজা করে লিখেছেন, ‘কিন্তু যে অভিজ্ঞতা হলো সেটা মিলিয়ন ডলার মূল্যের। ’ লাখ টাকা না পেলেও নতুন স্যুটকেসগুলো নিজেদের মূল্য নিজেরা পরিশোধ করেছে। এটাই তার সান্ত্বনা।

ভাগ্যবান এই ক্রেতা ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘটনাটি নিশ্চিত করার সময় মন্তব্য করেছেন, এই রকম ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে তা ভেবে তিনি অবাক হয়েছিলেন প্রথমে। এরপর তিনি ধারণা করেন, কেউ হয়তো স্যুটকেসটি কিনে ব্যবহার করেছিলেন। কিছু টাকা ভেতরে রেখে ভুলে গিয়েছিলেন। এরপর ওই অবস্থায়ই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

এ ঘটনা শুনে অনেকে বলেছেন, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ব্যাগে কী কী জিনিস রাখছেন।