পবিত্র রমজান মাসে যানজট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। সড়কে যানবাহনের বিশৃঙ্খল চলাচল ও দোকানপাট বসার কারণে এই যানজট তৈরি হয়। এ অবস্থায় নগরবাসীকে কর্তব্যস্থল থেকে ফেরার বা কোনো গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে বের হতে একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সেটি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। একই সঙ্গে সড়কে ব্যবসায়ীদের বসতে না দেওয়ার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, মার্কেটকেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সচল রাখার জন্য বিভিন্ন মার্কেটের কমিউনিটি পুলিশ ও ভলান্টিয়ারদের (স্বেচ্ছাসেবী) অ্যাক্টিভ করা হয়েছে। তারা ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে কাজ করে যাচ্ছে। মার্কেটকেন্দ্রিক অযাচিত পার্কিংয়ের বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। রমজান মাসকে ঘিরে রাস্তায় কোনো ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে পারবে না।
সুষ্ঠু সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে রাজধানীর ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, বিকাল সাড়ে তিনটায় অফিস ছুটি হলেও দেখা যায় যে বিকাল ৫টার পূর্ব থেকে ইফতারের সময়ের আগ পর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহনগুলো তড়িগড়ি করে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টার সেকশন ও শেষ মুহূর্তে অযাচিত যানজট তৈরি হয়। তাই যানজট এড়াতে অফিস ছুটির সময় অর্থাৎ বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় থেকে অফিস অথবা কর্মস্থল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তাড়াহুড়ো করে কর্তব্যস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল পরিহার করে গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোরও পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে অনেক সময় সড়কের পাশে বা বিভিন্ন ইমারত অথবা স্থাপনা সংলগ্ন স্থানে অযাচিতভাবে যানবাহনের পার্কিং দেখা যায়, যা সড়কের প্রশস্ততাকে কমিয়ে দেয় এবং যানবাহন চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি না করতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ রইল। এছাড়াও রমজানের প্রথম থেকেই অনাকাঙ্ক্ষিত পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ।