ভোলা দৌলতখান উপজেলার-১ নং মদনপুর ইউনিয়নের-৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমানে বসবাসরত নোয়াখালী হইতে আগত মোঃ সিরাজ বেপারী ৫৫ এর বিরুদ্ধে একই ওয়ার্ডে বসবাসরত মোঃ ভুট্টু ৪৫ এর ছেলে মোঃ শাকিল ১৬ এর বিরুদ্ধে মিথ্যা শিশু ও নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
অভিযোগ যে সিরাজ বেপারী গত ৮ মাস পূর্বে এই মদনপুর এসে আমাদের সহ এলাকার বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে তার এই মেয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন। গতকাল সর জমিনে গিয়ে মোঃ সিরাজ বেপারীর কাছে প্রশ্ন ছিল আপনি সপরিবারে মদনপুরে কতদিন হল বসবাস করছেন? এতে সিরাজ বেপারী জবাব দিল গত ৮ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুইদিন পূর্বে উনারা মদনপুরে এসেছেন। এবং যেই ঘরটিতে বসবাস করছেন সেই ঘরটিও নাকি ভাড়া নিয়েছেন।
তখন সিরাজ ব্যাপারীর কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার এক মেয়ে নিয়ে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন সেই ব্যাপারে একটু বিস্তারিত বলুন! সিরাজ ব্যাপারীর অভিযোগ তার মেয়ে শাবনুর আক্তার ১৪ স্কুল থেকে ফেরার পথে, মোঃ ভুট্টুর ছেলে মোঃ শাকিল ১৬, এর গতি রোধ ইভটিজিং করে তাহাকে টানা হিছড়া করছে এবং তার গায়ের বস্ত্র ছিড়ে ফেলেছেন, তখন মেয়ের ডাক চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই এবং ছেলেকে আটকাই।
তখন এলাকার মুরুব্বী গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিচার করে দিবে বলে কথা দেয়, এই মধ্যস্থতায় ছেলেকে আমরা ছেড়ে দেই। পরক্ষণে তারা সঠিক বিচার করতে ব্যর্থ হলে আমি কোর্টে গিয়ে মামলা করি। এখনো যদি আপনারা সঠিকভাবে বিচার করেন এবং আমার ক্ষতিপূরণ দেন তাহলে আমি মামলা তুলে নিব। সিরাজ ব্যাপারীর মেয়ে শাবনুর আক্তার এরকাছে প্রশ্ন ছিল তুমি কোন ক্লাসে পড়ো এবং কবে থেকে স্কুলে যাও! জবাবে শাবনূর আক্তার বলেছেন যে সে ক্লাস সিক্সে পড়ে এবং গত ১ মাস ধরে সে ইস্কুলে যায়! শাবনুর আক্তার স্কুলে পড়া নিয়ে অত্র এলাকার লোকজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ এই মেয়েটি কখনোই স্কুলে পড়ে না বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এই বিষয় নিয়ে মদনপুর আলোর পাঠশালা স্কুলের শিক্ষক জনাব আকতার মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি প্রতিবেদন কে বলেন যে, শাবনুর আক্তার গত এক বছর ধরে উক্ত স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ে।
তখন শিক্ষকের কাছে প্রশ্ন রাখা হয় যে শাবনুরের পিতা মাতা গত ৮ মাস হল নোয়াখালী হতে এসেছে, এবং এই মদনপুরে বসবাস করেন,তাহলে কিভাবে সে এক বছর হল এই স্কুলে পড়েন? এবং শাবনুর বলেছেন একমাস হতে পড়ালেখা করেন এবং স্কুলে যায়? তখন শিক্ষক আকতার মাস্টার সঠিক জবাব দিতে পারেননি।
তবে ঘটনাটি যখনকার বলছেন তাহার পূর্বে কোনদিন শাবনুর আক্তার স্কুলে যায়নি বলে এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে মোঃ সেলিম ৪৭ পিতা মৃত আব্দুল মুনাফ ৩ নং ওয়ার্ড মদনপুর ইউনিয়ন, এর কাছে জানতে চাওয়া হলে উনি বলেন যে সিরাজ বেপারী নিজে দুইটি বিবাহ করেছেন, প্রথম ঘরেরও একটি মেয়ে আছে প্রথম স্ত্রী থাকেন ফেনী জেলায়, দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন এই মাঝেরচর এলাকায়, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে শাবনুর আক্তার, এই দুইটি মেয়ে খুবই উশৃংখল তার আগের ঘরের মেয়ে সহ এই দুইটি মেয়ে আমাদের চরের ছেলেদেরকে নষ্ট করার জন্য এসেছে।
সিরাজ ব্যাপারীর ব্যবহার অত্যাধিক খারাপ এবং তাহার স্ত্রীর ব্যবহার খুবই খারাপ তারা যখন তখন মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং এখন তাহার মেয়েকে দিয়ে ফাঁদ পেতে মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে টাকা দাবি করছেন। প্রতিবেদক ভুট্টুর ছেলে মোঃ শাকিল এর সম্পর্কে ভূট্টুর কাছে প্রশ্ন ছিল যে আপনার ছেলে সিরাজ ব্যাপারীর মেয়ের সাথে যে ঘটনাটি হল তাহা বিস্তারিত জানান। ভুট্টু জানান সিরাজ বেপারী তাহার মেয়ে দিয়ে আমার নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে কোর্টে গিয়ে একটি নারী ও নির্যাতন মিথ্যা মামলা দাখিল করেছে, কারণ আমি গত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোট করেছি বিধায় বিভিন্নভাবে আমার উপর নির্যাতন জুলুম অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজ ব্যাপারীর নাবালিকা মেয়ে দিয়ে আমার নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়েছে, আমি একজন অসহায় গরিব খেটে খাওয়া মানুষ,নদীতে মাছ শিকার করে আমি জীবিকা নির্বাহ করি। আমার ছেলেটি এখন উঠতি বয়সে ১৫-১৬ বছর বয়স,আমি টাকার অভাবে ছেলেকে লেখাপড়া পর্যন্ত করাতে পারিনি, আপনারা এলাকা বাসি থেকে জিজ্ঞাসা করুন আমার ছেলের স্বভাব চরিত্র কেমন,এমন কি আপনারা অত্র মসজিদের ইমাম সাহেব থেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন বলে ভুট্টো জানান।
মোঃ ভুট্টোর ছেলে মোঃ শাকিল এর কাছে প্রশ্ন ছিল উক্ত ঘটনা সম্পর্কে, ও বলেছে ওই মেয়ের সাথে আমার কোন কথাবার্তাও নেই কোন চলাফেরাও নেই হঠাৎ করে তারা আমাদের সাথে চড়া হয়ে গালিগালাজ করে পরক্ষণে শুনি একদিন তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন এবং গত কয়েকদিন পূর্বে চড়ে পুলিশ এনে আমাদেরকে তাড়া করেছেন। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য ন্যায় বিচারের স্বার্থে উক্ত ঘটনাটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর আবেদন।