কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারের’ জেরে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় তিন রোহিঙ্গা নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে পৃথক সময়ে উখিয়া উপজেলার ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।
নিহতরা হল- উখিয়া উপজেলার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-৩ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. জোবায়ের (১৬) এবং ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে আবুল কাশেম।তবে নিহত অপর একজনসহ হতাহত অন্যদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।
স্থানীয়দের বরাতে শামীম হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উখিয়া উপজেলার জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সি-ব্লকে মো. জোবায়েরসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা আড্ডা দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে চারজন রোহিঙ্গা আহত হয়।“ খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এদিকে মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় আবুল কাশেম নামের আরেক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছন ওসি।
স্থানীয়দের বরাতে শামীম হোসেন বলেন, রাতে আবুল কাশেমকে ঘর থেকে ডেকে বের করে এনে উপর্যুপুরি গুলি ছুড়ে একদল সন্ত্রাসী। এতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ওসি জানান, কারা, কি কারণে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। তারপরও ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার বিকালে উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিতে নিহত হয়েছিল ইমাম হোসেন নামের আরেক রোহিঙ্গা। এ নিয়ে একদিনে পৃথক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছে চারজন রোহিঙ্গা।