ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

পায়রার তীরে জমে উঠেছে তাজা ইলিশের বাজার

বরগুনার পায়রা নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পাড়ে বসেই। নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের চাহিদা বাড়ায় ঘাটেই ইলিশ বিক্রি করছে জেলেরা। তাজা ও দাম নাগালে থাকায় আগ্রহ নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিকেল থেকেই এখানেই ভিড় জমে ক্রেতাদের।

এমন দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনা সদরের পায়রা নদী সংলগ্ন পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায়। ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে বসে ইলিশ বিক্রি করছে বিক্রেতারা। স্থানীয় জেলেরা জানায়, জোয়ারের সময় পায়রা নদীতে জাল ফেলে তারা। সন্ধ্যায় জাল তুলে ইলিশগুলো আলাদা করে। এরপর ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে ফেরি টার্মিনালের পাশে বসেই রাত পর্যন্ত চলে ইলিশ বিক্রি।

বিভিন্ন জায়গায় থেকে বাসে করে আসা যাত্রীরা এবং স্থানীয় অনেকেই মাছ কেনার জন্য ভিড় করে এখানে। বিক্রেতারা বলেন, ইলিশ বাজার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পরিবহন খরচ গুনতে হয়। এ কারণে বাড়তি খরচ এড়াতে পাড়ে বিক্রি করে দেন নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ।

তাই তারা ঘাটেই ভালো দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ইলিশ বিক্রি করেন। ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি আমতলীর একটি স্কুলে চাকরি করি। রোজ এখান থেকে যাতায়াত করি। রাস্তার পাশে এমন তাজা মাছ দেখে গাড়ি থেকে নেমে কয়েক কেজি কিনলাম। মাঝারি সাইজের ইলিশগুলো একদম তাজা। এনায়েত হোসেন নামে আরেকজন বলেন, কাল আমাদের বাসায় অনুষ্ঠান আছে।

তাই মাছ নেওয়ার জন্য বিকেল থেকে এখানে অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ আগে জেলেরা মাছ নিয়ে ফিরেছে। মাছগুলো একদম তাজা। ১২ কেজি মাছ কিনলাম। বিক্রেতা দেলোয়ার মুন্সী দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, নদীতে তেমন মাছ নেই। যে পরিমাণে পাই তা নিয়ে বাজার পর্যন্ত গেলে পোষায় না। তাই মাছ ধরে সরাসরি এখানে বসেই বিক্রি করি।

এক কেজি ওজনের মাছ ১৩০০ টাকা কেজি। মাঝারি সাইজের টা ৬০০ টাকা। এবং ছোটগুলো ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আরেক বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে এখানে। তাজা মাছের চাহিদা থাকায় ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে পায়রা নদীতে মাছ তুলনামূলক কম। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেশি মাছের দেখা মিলবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব আমদের মাতৃভূমিকে বলেন, বরগুনার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পায়রা একটি। এখানে কয়েক হাজার জেলে মাছ ধরছে। জেলেরা আগের থেকে অনেক সচেতন। কয়েক দিন হল ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

পায়রার তীরে জমে উঠেছে তাজা ইলিশের বাজার

আপডেট সময় ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

বরগুনার পায়রা নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পাড়ে বসেই। নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের চাহিদা বাড়ায় ঘাটেই ইলিশ বিক্রি করছে জেলেরা। তাজা ও দাম নাগালে থাকায় আগ্রহ নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিকেল থেকেই এখানেই ভিড় জমে ক্রেতাদের।

এমন দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনা সদরের পায়রা নদী সংলগ্ন পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায়। ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে বসে ইলিশ বিক্রি করছে বিক্রেতারা। স্থানীয় জেলেরা জানায়, জোয়ারের সময় পায়রা নদীতে জাল ফেলে তারা। সন্ধ্যায় জাল তুলে ইলিশগুলো আলাদা করে। এরপর ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে ফেরি টার্মিনালের পাশে বসেই রাত পর্যন্ত চলে ইলিশ বিক্রি।

বিভিন্ন জায়গায় থেকে বাসে করে আসা যাত্রীরা এবং স্থানীয় অনেকেই মাছ কেনার জন্য ভিড় করে এখানে। বিক্রেতারা বলেন, ইলিশ বাজার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পরিবহন খরচ গুনতে হয়। এ কারণে বাড়তি খরচ এড়াতে পাড়ে বিক্রি করে দেন নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ।

তাই তারা ঘাটেই ভালো দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ইলিশ বিক্রি করেন। ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি আমতলীর একটি স্কুলে চাকরি করি। রোজ এখান থেকে যাতায়াত করি। রাস্তার পাশে এমন তাজা মাছ দেখে গাড়ি থেকে নেমে কয়েক কেজি কিনলাম। মাঝারি সাইজের ইলিশগুলো একদম তাজা। এনায়েত হোসেন নামে আরেকজন বলেন, কাল আমাদের বাসায় অনুষ্ঠান আছে।

তাই মাছ নেওয়ার জন্য বিকেল থেকে এখানে অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ আগে জেলেরা মাছ নিয়ে ফিরেছে। মাছগুলো একদম তাজা। ১২ কেজি মাছ কিনলাম। বিক্রেতা দেলোয়ার মুন্সী দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, নদীতে তেমন মাছ নেই। যে পরিমাণে পাই তা নিয়ে বাজার পর্যন্ত গেলে পোষায় না। তাই মাছ ধরে সরাসরি এখানে বসেই বিক্রি করি।

এক কেজি ওজনের মাছ ১৩০০ টাকা কেজি। মাঝারি সাইজের টা ৬০০ টাকা। এবং ছোটগুলো ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আরেক বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে এখানে। তাজা মাছের চাহিদা থাকায় ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে পায়রা নদীতে মাছ তুলনামূলক কম। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেশি মাছের দেখা মিলবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব আমদের মাতৃভূমিকে বলেন, বরগুনার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পায়রা একটি। এখানে কয়েক হাজার জেলে মাছ ধরছে। জেলেরা আগের থেকে অনেক সচেতন। কয়েক দিন হল ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছে।