গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন করা ও তাদের সেবা দেয়া এবং সেই সাথে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেয়া এটা আমাদের পুলিশের একটি মহৎ উদ্যোগ।
১০ এপ্রিল ২০২২ সকালে গণভবন থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ও দেশের অন্যান্য থানায় ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেয়া ও প্রতিটি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সার্ভিস ডেস্ক স্থাপনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। আসলেই এটা একটি মহৎ উদ্যোগ। কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে! মেলে দিলেম গানের সুরের এই ডানা মনে মনে।….. এটা কিন্তু সেই হারিয়ে যাওয়া না।
এটা হচ্ছে নাড়ি ছেড়া যওয়ার হারিয়ে যাওয়া। ইব্রাহিম (৫) তার মা সোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ভাটারা থানা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বেশ কিছু দিনে ধরে এই অবুঝ শিশুটি খেলতে খেলতে হারিয়ে যায় তার আপন ঠিকানা থেকে। অনেক খোজা খুজির পর ভিকটিমের মা সোমা পুলিশের দ্বারস্থ হন। ভাটারা থানা পুলিশের চৌকস অফিসার ইভা আক্তারের বুদ্ধিমত্তায় এবং ভাটারা থানার ওসি রফিকুল হক (তদন্ত) এবং ওসি অপারেশন মোঃ মোরশেদ আলম এর নেতৃত্বে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে, বেশ কয়েকটি হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বাক প্রতিবন্ধিকে খুজে বের করে তাদের গার্ডিয়ানকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তার মধ্যে অন্যতম ছিল হারিয়ে যাওয়া ১। শিশু ইব্রাহিম(৫) ১৮১ ভূইয়া পাড়া, মিনারা মসজিদ, খিলগাঁও, ঢাকা। ২। আব্দুল্লাহ(৮) ১৮১ ভ’ইয়া পাড়া, মিনারা মসজিদ, খিলগাঁও, ঢাকা। ৩। জাকারিয়া, গ্রাম : হাপানিয়া, থানা : কলমাকান্দা, জেলা : নেত্রকোনা। ৪। মো: আরিফুল ইসলাম গ্রাম : শিমুলজানি, থানা : নেত্রকোনা, জেলা : নেত্রকোনা। সাদেক ভূইয়া(৩৮) গ্রাম আঠার বাড়ি, থানা : ইশ্বরগঞ্জ, জেলা : ময়মনসিংহ। সেবা গ্রহিতাদের দেখা একজন চৌকস, সৎ, দায়িত্বশীল ও মানবিক পুলিশ অফিসার ইভা আক্তার। মুখে সারাক্ষণ হাসি লেগেই থেকে। সরেজমিনে দেখা যায়, তার নিকট আইনি সহায়তার জন্য আসা যেকোন মানুসই ভালো সহযোগিতা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ওসি তদন্ত রফিকুল হক বলেন, আমাদের কাছে মানুষ কেন আসে ? সহযোগিতা জন্য, এটাই যদি না পায় তাহলে থানা বা পুলিশ কি দরকার। পুলিশ মানবিক না হলে সারা বিশ্ব থমকে যেতো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। অফিসার ইভি বলেন, আমি চেষ্টার সবটুকুই করি। আমি আমার ওসি স্যারের পরামর্শে আন্তরিকভাবে চেষ্ট করি। ঠিক বলেছেন ওসি রফিক, পুলিশ মানবিক না হলে থমকে যেতো পৃথিবী, কথাটা অনেক যুক্তিযুক্ত। পুলিশও কাঁদে! এমন শিরোনামে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। অসংখ্য বন্ধুদের শেয়ার করা এ ভিডিওতে লাইক কমেন্টসও পড়েছে অনেক।
যেখানে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফেসবুক বন্ধুরা। ভিডিওটিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ শাখার টিম লিডার মুহাম্মদ শওকত হোসেনের। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে। আসলেই তিনি মানবিক পুলিশ। ২৫হাজার টাকা বেতন পেয়ে অনেকটাই খরচ করেন অসহায়দের পিছনে।