নওগাঁর সাপাহারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জাগিয়ে তোলার একমাত্র কারিগর ইউএনও কে সাপাহার প্রেস ক্লাবের সংবর্ধনা। কোভিড ১৯ আক্রান্তের ফলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝিমিয়ে যায় লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে।
গেলো করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিলো জন জীবন। এর প্রভাব পড়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রেও। শিক্ষা ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষুদে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা জীবন শুরুতে বড় ধাক্কা পেতে হয়েছে তাদের। সম্প্রতি করোনার ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও শিক্ষা ব্যাবস্থা কিছুটা পিছিয়ে গেছে। তাই শিক্ষার প্রতি গুরত্ব দিচ্ছে শিক্ষক অভিভাবক সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই।
এরই লক্ষে শিক্ষা ব্যাবস্থা ত্বরান্বিত করতে এবং কোমলমতি ক্ষুদ্র শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন। সুযোগ পেলে ছুটে যান বিভিন্ন স্কুলে এবং জাগিয়ে তোলেন কোমলমতি সেইসব শিক্ষার্থীদের, শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেওয়া, শিক্ষা সামগ্রী, স্কুল ড্রেস সহ বিভিন্ন প্রকার উপহার দেন তিনি। তার উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং ভালোবাসার ছোয়ায় আজ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাগিয়ে ওঠে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেছে।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ে ও বিভাগীয় পর্যায়ে “প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২২” পেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন এই শিক্ষা বান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন। তার অবদানের বিষয়ে যথাযথ মর্যাদা দিতে হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সাপাহার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ।
একজন নির্বাহী অফিসারের শিক্ষা ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা রাখায় রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সাপাহার প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে সংবর্ধনা শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে।
সংবর্ধনা প্রদান করেন প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সহ-সভাপতি সাংবাদিক হাফিজুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী খাদিজা আক্তার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা খাতুন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান,বিআরডিবি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন প্রমুখ।